শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

নিউইয়র্কে ওয়াং ইয়ের সাথে ইউনূসের সাক্ষাৎ; চীন বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করতে চায়

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪

প্রিন্ট করুন
মুহাম্মদ ইউনূস এবং ওয়াং ই

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, ‘তার দেশ বাংলাদেশে সোলার প্যানেলে বিনিয়োগ করতে চায় এবং বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার মাধ্যমে কৌশলগত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে আগ্রহী।’

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সদর দপ্তরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইউনূসের আহ্বানে সাড়া দিয়ে চীনের সোলার প্যানেল প্রস্তুতকারকরা বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনে আগ্রহী। চীনা সরকার ব্যাপারটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে।’

গেল মাসে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইউনূসের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি চীনের সোলার প্যানেল প্রস্তুতকারকদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশে সোলার প্যানেলে চীনা বিনিয়োগ এলে সেটি আমাদের বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মাইলফলক হবে।’

সাক্ষাৎকালে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউনূসকে ‘চীনের জনগনের পুরোনো বন্ধু’ উল্লেখ করেন এবং তাকে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান।

ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ থাকবে উল্লেখ করে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা পূর্ণ আস্থা রাখি যে, আপনি দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবেন।’

ওয়াং ই জানান, ‘বেইজিং দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বাড়াতে উৎসাহিত করবে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন বাংলাদেশ থেকে আরো বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাবে।’

ইউনূস এ আন্তরিকতার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি চীনের লাখ লাখ মানুষকে টদারিদ্র অবস্থা থেকে বের করে আনার অদম্য প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

ইউনূস বলেন, ‘চীনের সোলার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বড় আকারে বিনিযোগ করতে পারে, যা বহু ধনী দেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারমূলক বাজার প্রবেশাধিকারের সুবিধা পাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সোলার কোম্পানি ছাড়াও অন্যান্য চীনের প্রস্তুকারকরা তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করতে পারে।’

প্রধান উপদেষ্টা চীনের সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’ সূচনার আহ্বান জানান। তিনি দুই দেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধিরও আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চীনের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করতে চাই। আমাদের একসঙ্গে কাজ করার বহু সুযোগ রয়েছে।’