নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটির পুরনো ও বৃহৎ টিউটোরিং প্রতিষ্ঠান প্রয়াত মনসুর খান ও নাঈমা খান প্রতিষ্ঠিত এবং বর্তমানে তাদের পুত্র ইভান খান পরিচালিত ‘খান’স টিউটোরিয়াল। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখায় কমন কোর শিক্ষার্থীদের মাঝে অ্যাওয়ার্ড বিতরণ করা হয়েছে। নিউইয়র্ক স্টেট পরীক্ষায় পারফেক্ট স্কোর (ডাবল ৪) অর্জনকারী অসাধারণ ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা জানানো হয়। ওজোন পার্ক শাখায় ১১ জানুয়ারি ও বেলোরোজ শাখায় ১২ জানুয়ারি অ্যাওয়ার্ডসমেনিয়া সিরেমনি সম্পন্ন হয়েছে।
খান’স টিউটোরিয়ালের কৃতি কমন কোর শিক্ষার্থীদের মাঝে অ্যাওয়ার্ডস বিতরণ জামাইকা শাখায় ১৮ জানুয়ারি সম্পন্ন হয়েছে। ব্রুকলিন শাখায় ১৯ জানুয়ারি, জ্যাকসন হাইটস শাখায় ২৫ জানুয়ারি, হিলসাইড-পারসন্স শাখায় ২৬ জানুয়ারি ও ব্রঙ্কস শাখায় ১ ফেব্রুয়ারি সম্পন্ন হবে।
প্রতিটি সিরেমনিতে শিক্ষায় অত্যন্ত মনোযোগী এবং কঠোর পরিশ্রমী শিক্ষার্থীদের অসাধারণ সাফল্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানগুলোতে শিক্ষাবিদ, পরিবার ও কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সফল শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে খান’স টিউটোরিয়ালের চেয়ারপারসন ও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নাঈমা খান বলেন, ‘অ্যাওয়ার্ডসমেনিয়া’ সিরেমনির মাধ্যমে ছাত্রদের অসাধারণ সাফল্য দেখার পর আমার হৃদয় অভিভূত। এটি আমাদের শিক্ষকদের নিষ্ঠা, পরিবারের প্রচেষ্টা ও ছাত্রদের কঠোর পরিশ্রমের প্রমাণ। আমি প্রতিটি পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা তাদের সন্তানদের সাফল্যের জন্য সব ধরনের ত্যাগস্বীকার করেছেন।
খান’স টিউটোরিয়ালের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ইভান খান বলেন, ‘নিউইয়র্ক স্টেট পরীক্ষায় ডাবল ৪ অর্জন করা একটি একটি বড় ধরণের সাফলতা, যা আমাদের ছাত্রদের কঠোর পরিশ্রম ও আমাদের শিক্ষার পদ্ধতির প্রতিফলন। এই উদযাপন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার নিজস্ব প্রচেষ্টা এবং আমাদের শিক্ষা পদ্ধতি ও প্রতিশ্রুতির একটি বড় প্রমাণ এবং যাতে আমরা প্রতিটি ছাত্রের সক্ষমতা বিকাশে সহায়ক হই।’
অনুষ্ঠানগুলিতে অভিভাবকরা তাদের অনুভুতি প্রকাশ করেন। একজন অভিভাবক বলেন, ‘প্রতিটা বাবা-মা তাদের সন্তানদের সফলতা দেখতে চায় এবং একটি ভাল ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আমি চাই, আমার ছেলে শুধু ভাল ক্যারিয়ারই নয়, সে যেন সমাজে তার মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে অবদান রাখতে পারে।’
অপর একজন অভিভাবক বলেন, ‘ধন্যবাদ জানাই খান’স টিউটোরিয়ালের ইভান খান, শিক্ষক তানভীর ও ম্যানেজারদের। আমার সন্তান এখানে এসে অনেক কিছু শিখেছে। তাই, আমি আমার আরেক সন্তানকে এখানে পাঠিয়েছি।’