নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সাথে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কে মার্কিন কংগ্রেসম্যান ও ফরেন এ্যাফেয়ার্স কমিটির র্যাংকিং সদস্য গ্রেগরী মীক্সের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহা পরিচালক (জাতিসংঘ) তৌফিক ইসলাম শাতিলসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় প্রাপ্ত সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ সংবাদ জানানো হয়।
বৈঠককালে পররাষ্ট্র মন্ত্রী কংগ্রেসম্যানকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ বিশ্ব দরবারে স্বীকৃত ও প্রশংসিত।’
তিনি বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার ওপর আলোকপাত করে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার যে অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে, তা কাজে লাগানোর মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগের সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করার বিষয়ে কংগ্রেসম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
কংগ্রেসম্যান মীক্স বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বন্ধুরাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করে দুই দেশের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো জোরদার হবে বলে আশা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশ সরকারকে রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলায় মানবিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত ও বাংলাদেশে সাময়িক আশ্রয়গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের স্বদেশে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমার সরকারের উপর চাপ প্রয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
কংগ্রেসম্যান মীক্স জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত ও বাংলাদেশে সাময়িক আশ্রয়গ্রহণকারী বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনী পলাতক রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে দ্রুত ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কংগ্রেসম্যানের সমর্থন কামনা করেন।
র্যাবকে জঙ্গিবাদ, সহিংস চরমপন্থা, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও মানবপাচারসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ও নির্মূলে দীর্ঘ দিন ধরে অত্যন্ত দক্ষ ও কার্যকরী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রী র্যাবের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একযোগে কাজ করবে বলে জানান।