মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

শিরোনাম

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছার ৯৩তম জন্ম বার্ষিকী পালন

বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১০, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: ’সংগ্রাম-স্বাধীনতা, প্রেরণায় বঙ্গমাতা’ এ প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্ম বার্ষিকী উদযাপন করেছে। অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল ও কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়া হয়। শেখ ফজিলাতুন নেছার উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। দিবসটির তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গমাতার প্রেরণা ও বহুমাত্রিক অবদান তুলে ধরে আলোচনা করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বঙ্গমাতার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও দূরদৃষ্টির উপর আলোকপাত করেন। বাঙালির সুদীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিটি পদক্ষেপে বঙ্গমাতা যে শক্তি, সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছেন, তা তুলে ধরেন। তার ত্যাগ-তিতিক্ষা, ধৈর্য্য, সহনশীলতা, দেশপ্রেম ও জনগণের প্রতি ভালবাসা ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে বলে কনসাল জেনারেল যোগ করেন। বঙ্গমাতার আদর্শ ও চেতনা, ত্যাগ ও সংগ্রাম সবার জন্য বিশেষ করে নারীদের জন্য এক অবিরাম অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে- উল্লেখ করে তিনি সকলের কাছে তা তুলে ধরার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে ফজিলাতুন নেছা মুজিব, জাতির পিতা ও তার পরিবারের অন্য শহিদ সদস্যসহ মুক্তিযুদ্ধের সব শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।