নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ১৪ ডিসেম্বর যথাযথ মর্যাদায় ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করেছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল। দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ বুদ্ধিজীবী ও অন্যান্য শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের একেবারে চূড়ান্তকালে বাংলাদেশের যে সব সূর্য-সন্তান, জাতির অত্যন্ত মেধাবী মানুষ বর্বর হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছিলেন, তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন ও দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য তাদের অতুলনীয় অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
নাজমুল হুদা বলেন, ‘স্বধীনতার ঊষালগ্নে দেশের প্রথিতযশা চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, লেখক-সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ গুণী মানুষদের নির্মমভাবে হত্যা করে জাতিকে মেধাশূণ্য করার হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার প্রয়াস চালায় স্বাধীনতাবিরোধীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোফাজ্জাল হায়দার চৌধুরী, মুনীর চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, শহীদুল্লাহ কায়সার, গিয়াস উদ্দীন, ডাক্তার ফজলে রাব্বী, আব্দুল আলীম চৌধুরী, সিরাজ উদ্দীন হোসেন, সেলিনা পারভীন, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতাসহ আরো অনেকে এই জঘন্য হত্যাকান্ডের শিকার হন।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধীরা এই পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জঘন্য পথ বেছে নেয়।’
কনসাল জেনারেল বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান এবং বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে শহিদ বুদ্ধিজীবী ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।