রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

শিরোনাম

নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উদযাপন

শনিবার, জানুয়ারী ১১, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রর নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উদযাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল বক্তব্য দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় প্রায় আধা ঘণ্টাব্যপী বক্তব্য দেন পাঁচ মাস আগে দেশ থেকে ভারতে আশ্রয় নেয়া এ সাবেক সরকার প্রধান।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) নিউইয়র্কের এস্টোরিয়া বৈশাখী পার্টি সেন্টারে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি দেশে অসহায় দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র ও খাদ্য বিতরণের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান।

স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হাসান ও আব্দুর রহিম বাদশা, স্টেট আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত আলী, এমএ বাশার মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ হেলিম উদ্দিন, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দুলাল বিল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা জিন্নাহ, ইসহাক মিয়া, আজিজুর রহমান সাবু, নাজিম।

অনুষ্ঠানে কুরআন থেকে তেলাওয়াত ও দোয়া পরিচালনা করেন স্টেট আওয়ামী লীগের উপদেস্টা সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া।

অনুষ্ঠানে টেলিফোনে দেয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির জনক ও তার পরিবারের সব সদস্যকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে কলংকিত করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা হয়। ৫ আগস্টও একইভাবে স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতা দখল করে আমাকে এবং আমার বোন শেখ রেহানাকে হত্যা করতে চেয়েছিলো। কিন্তু, তারা সেটা পারেনি। গভীর চক্রান্তের মাধ্যমে জঙ্গি, সন্ত্রাসীরা পুলিশ, ছাত্র, আওয়ামী লীগ, সাধারণ মানুষ হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে। যে কোটা ২০১৮ সালে বাতিল করেছিলাম, আদালত যে রায় দেয় তাও আমরা স্থগিত করি। জুলাই আন্দোলনে বাধা দেয়া হয়নি, পুলিশকে নিষেধ করেছিলাম বাধা দিতে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা আবু সাঈদ ও মুগ্ধকে হত্যা করেছে। গুলিবিদ্ধ আবু সাঈদকে কেন হাসপাতালে নেয়া হয়নি? ওই পরিস্থিতিতে আমি চাইনি দেশে লাশের পর লাশ পড়ুক। রক্তপাত চাইনি, তাই ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘নানা ঘাত প্রতিঘাতের মাধ্যমে যে উন্নয়নশীল দেশ গড়েছিলাম আজ তা ধ্বংস প্রায়। তারা এখনো দেশে সন্ত্রাসী কাজ চালাচ্ছে। দেশে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, দুর্বাত্তায়ন হচ্ছে। আরাজকতা ও নৈরাজ্যে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ। জিনিসপত্রের দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।’

তিনি দেশের মানুষকে মুক্ত করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বক্তব্য শেষে শেখ হাসিনা উপস্থিত নেতা-কর্মীদের সাথে কথাও বলেন।