মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

শিরোনাম

নিউইয়র্ক ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া জরিমানায় দিশেহারা গাড়ি মালিকরা

শুক্রবার, অক্টোবর ১৪, ২০২২

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: নিউইয়র্ক সিটি ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারি আচরণ ও বেপরোয়া জরিমানা করার অভিযোগ ওঠেছে। এতে বেকায়দায় পড়েছেন গাড়ি মালিকরা। বৈশ্বিক অতিমারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হ্রাসের পর থেকে অনিয়ম বন্ধে নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন বোরোতে চলছে ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া অভিযান। ছোট অজুহাতেই মোটা অংকের জরিমানা করছে পুলিশ। শুধু জরিমানা করেই ক্ষান্ত হচ্ছেন না তারা, লাইসেন্স সাসপেন্ডের জন্য ক্রিমিনাল টিকিট দিচ্ছেন। এমন কি তিন গুণ পর্যন্ত বেশী জরিমানা আদায়ের জন্য গাড়িতে বুট লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ট্রাফিক পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে জরিমানা না দিলে গাড়ি উঠিয়ে (টো) করে নিয়ে যাচ্ছেন যখন-তখন। এভাবে ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া জরিমানার ফলে প্রতিদিন টো হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার গাড়ি।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকে ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। বেপোরোয়াভাবে টিকিট দিচ্ছেন তারা।

জানা যায়, গত ১১ অক্টোবর একটি টিলএসি গাড়ি জ্যাকসন হাইটস এলাকায় নো স্ট্যাডিং জোনে রাখা হয়। এর কিছু সময় পর নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের একটি টো ট্রাক এসে গাড়িটি উঠিয়ে নিয়ে যায়। এর জন্য এক দিনে তাকে ২৫২ ডলার জরিমানা দিতে হবে। পুলিশ ডিপোতে যদি গাড়িটি তিন-চার দিন থাকে, তাহলে গাড়ির মালিককে কয়েক গুণ জরিমানা দিয়ে গাড়ি আনতে হবে।

একইভাবে গত ১ অক্টোবর জ্যামাইকা থেকে একটি গাড়ি টো করে নিয়ে যায় পুলিশ। সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত নো পাকিং সাইন ছিল। সেখানে গাড়িটি রাখা ছিল। সকাল দশটার দিকে গাড়িটি টো করে নিয়ে যায়। পরে গাড়ির মালিক বেশ কয়েক বার ৩১১ এ কল দিয়ে গাড়ির খোঁজ নিতে পানি নি। টো ম্যানেজমেন্টকে কল দিয়েও গাড়ির খোঁজ পান নি তিনি। এক দিন পর টো ম্যানেজমেন্টকে ফের কল দিলে তারা গাড়ির খোঁজ দেন। পরে গাড়ির মালিক দুই গুণ জরিমানা দিয়ে গাড়ি ছাড়িয়ে আনেন।

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) একজন ডেলিভারিম্যান ব্রঙ্কসের খলিল বিরিয়ানি থেকে গাড়ি ইমারজেন্সী রেখে চা কিনতে যান। এর মধ্যে ট্রাফিক পুলিশ এসে তাকে ডাবল পাকিংয়ের জন্য জরিমানার কাগজ ধরিয়ে দেন। দৌঁড়ে গাড়ির ড্রাইভার এসে প্রতিবাদ জানালে তাকে আরো একটি ডাবল জরিমানার টিকিট দেন। এভাবে বেপরোয়া গাড়িতে জরিমানা দিচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশরা। প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়িকে এভাবে জরিমানা গুণতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে একজন ট্রাফিক কর্মকর্তার সাথে কথা বললে নাম প্রকাশ না করা শর্তে তিনি বলেন, ‘বেশীর ভাগ জরিমানা করা হয় ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারণে। দুয়েকটি জরিমানা হয়তো ভুলবশত করা হয়। এগুলো নিয়ে কোর্টে গেলে সঠিক প্রমাণ তুলে ধরলে জরিমানা মওকুফ পাওয়া যায়। অথবা অনলাইনে ডিসফিউটের আবেদন করা যায়।’