মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

শিরোনাম

নিউ ইয়র্কে ‘দ্য বে ওয়েভ’ ও ‘জয় বাংলাদেশ’-এর দ্বিতীয় সংখ্যার প্রকাশনা উদ্বোধন

বুধবার, এপ্রিল ৩, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউ ইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ইংরেজি সাময়িকী ‘দ্য বে ওয়েভ’ ও বাংলা সাময়িকী ‘জয় বাংলাদেশ’-এর দ্বিতীয় সংখ্যার প্রকাশনা উদ্বোধন করা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জ্যাকসন হাইটসের শেফস মহল রেস্তোরায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন বাংলা সংবাদপত্রের সম্পাদক, ঢাকার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি, সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে দ্য বে ওয়েভ ও জয় বাংলাদেশের সম্পাদক গ্লোবাল পিস অ্যামব্যাসেডর স্যার আবু জাফর মাহমুদ সম্পাদক ও সাংবাদিকদের আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশি কমিউনিটির সংবাদপত্রের প্রকাশক, সম্পাদক, টেলিভিশনের স স্বত্বাধিকারী, সাংবাদিক- আমরা সবাই একটি পরিবার। বহু দিন ধরে আমরা আমাদের অভিযাত্রা অব্যাহত রেখেছি। যারা বহু আগেই এ যাত্রা শুরু করে অন্যদের জন্য পথ তৈরি করেছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমরা এখন একই সংগ্রামে হাতে হাত ধরে এগুচ্ছি। এটিই আমাদের সমাজের শক্তি। আমাদের কমিউনিটিকে সেবা দিচ্ছি ও যুক্তরাষ্ট্রে সেবায় অংশ নিয়েছি।’

অনুষ্ঠানে সাপ্তাহিক ঠিকানার সম্পাদক এমএম শাহীন, পরিচয়ের সম্পাদক নাজমুল আহসান, বাংলাদেশের সম্পাদক ওয়াজেদ এ খান, টাইম টিভির স্বত্বাধিকারী আবু তাহের, লেখক ও সাংবাদিক আনোয়ার হোসেইন মনজু, চ্যানেল আইয়ের ব্যুরো প্রধান রাশেদ আহমেদ, এমসি টিভির স্বত্বাধিকারী কাজী শামসুল হক, ‘দেশ’-এর সম্পাদক মিজানুর রহমান, জন্মভূমির সম্পাদক রতন তালুকদার, হককথার সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন, এনওয়াই কাগজের প্রদায়ক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম, নিউ ইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মজুমদার, চ্যানেল টিটির স্বত্বাধিকারী শিবলী চৌধুরি কায়েস, সাংবাদিক অভিক সানোয়ার রহমান, মোহাম্মদ হোসেন দিপু, কানু দত্ত উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সম্পাদক ও সাংবাদিকরা আবু জাফর মাহমুদের সাংবাদিকতায় পেশাদারিত্ব ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার প্রশংসা করে বলেন, ‘তিনি বহু আগেই অসাধারণ এক কলমসৈনিকের সাক্ষর রেখেছেন। নয়া দুইটি পত্রিকার মাধ্যমে তিনি মানব সেবা ও জীবন সংগ্রামের নয়া ধারার সূচনা করলেন।’

স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসকে এক করে দেখা যাবে না: আবু জাফর মাহমুদ স্বাধীনতা দিবস স্মরণে বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবস আর বিজয় দিবসকে এক করে দেখা যাবে না। দুই দিবসের বক্তব্য দুই রকম। প্রেরণা দুই রকম, ভূমিকাও দুই রকম। ২৫ মার্চ আমাদের বাধ্য করেছিল ২৬ মার্চ জন্ম দিতে। আমরা জন্মগতভাবেই ছিলাম পাকিস্তানী। পাকিস্তান আমাদের দেশ ছিল। যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী আমাদের ওপর আক্রমণ করল, সেই আক্রমণ ছিল যুদ্ধের আক্রমণ। ধ্বংসের আক্রমণ। পুরো জাতির ওপর লক্ষ্য ঠিক রেখেই আক্রমণটা করা হয়। যাতে বাঙালি জাতিকে নির্মূল করে ফেলা যায়। এর মোকাবিলায় আমাদের সশ্রস্ত্র শক্তির পক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া আর কোন বিকল্প ছিল না। এটা কোন রাজনীতি নয়, এটা কোন সাহিত্য চর্চা নয়। এ যুদ্ধ ছিল বেঁচে থাকার যুদ্ধ। এ যুদ্ধ আমাদের প্রতিরোধ যুদ্ধ। এ প্রতিরোধ যুদ্ধের ধারাবাহিকতায় মুুক্তিযুদ্ধ শুরু হল।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিরোধ যুদ্ধটি ছিল পুরোপুরিভাবে সামরিক যুদ্ধ। রাজনীতিবিদরা তখন সিদ্ধান্তহীন ছিলেন, আমরা পুরো জাতিই তখন সিদ্ধান্তহীন ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় ছিলাম। সেই দিনের ক্যাপ্টেন রফিক ইপিআরে তার কমান্ডারকে হত্যা করে এসে যুদ্ধে অংশ নিলেন। তিনি তার সিনিয়র হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানকে খুঁজে নিয়ে চট্টগ্রামে একে খান সাহেবের সাথে বৈঠক করে বেঙ্গল রেজিমেন্টের তরফ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা দিলেন। এর মধ্য দিয়েই আসল আমাদের সশস্ত্র যুদ্ধের প্রেরণা।’

আবু জাফর মাহমুদ বলেন, ‘আমরা গর্বিত, আমাদের সেই বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইপিআর, পুলিশ, আনসারের প্রতি। সেই দিন তারা আমাদের যুদ্ধের পথ রচনা করেছেন, জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে গেছেন, প্রতিরোধ যুদ্ধ সৃষ্টি করেছেন। তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’

মাহফিলে দোয়া ও মোনাজাত করেন জহ্যাকসন হাইটস ইসলামিক সেন্টারের খতিব মাওলানা আব্দুস সাদিক।