মেমফিস, টেনেসি, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিস শহরে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ টায়ের নিকোলসকে গ্রেফতারের সময়ের বডি ক্যাম ফুটেজ প্রকাশ করেছে পুলিশ। খবর বিবিসির।
গত ৭ জানুয়ারি পাঁচ পুলিশ সদস্যের নির্যাতনের শিকার হন নিকোলস। পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে গ্রেফতারের তিন দিন পর মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের সাবেক পাঁচ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এ ছাড়া একাধিক নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের পুলিশ বাহিনী থেকেও বরখাস্ত করা হয়।
প্রকাশিত বডি ক্যাম ফুটেজে পুলিশের নির্যাতন ও নৃশংসতার ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। তিন মিনিটের ওই ফুটেজটিতে দেখা যায়, নিকোলসকে রাস্তায় ফেলে মারধর করছেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় বার বার আকুতি জানালেও পুলিশ তা আমলে না নিয়ে ক্রমাগত তাকে নির্যাতন করতে থাকে। পুলিশের এমন বর্বরতায় হতবাক হয়ে যায় সাধারণ মানুষ।
২৯ বছর বয়সি নিকোলসকে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের অভিযোগে আটক করে পুলিশ। কিছুক্ষণ কথা বলার পর ভয়ে তিনি দৌড় দিলে পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে বর্বর নির্যাতন চালান। তার মুখে একাধিক লাথি ও ঘুষি মারেন তারা।
মেমফিস পুলিশের পক্ষ থেকে চারটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। প্রথম ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ নিকোলসকে গাড়ি থেকে বের করে মাটিতে শুয়ে পড়তে বলছে। এ সময় নিকোলস বলেন, ‘আমি কিছু করিনি।’ তখনই এক অফিসার গালি দিয়ে বলেন, ‘মাটিতে শুয়ে পড়।’
আরেকজন নিকোলসকে টেজার দিয়ে ইলেকট্রিক শক দিতে বলেন। এ ছাড়া আরেক পুলিশ সদস্য এ সময় হাত ভেঙে দেয়ার আগে তার হাত পেছনে রাখতে বলেন।
পুলিশের এমন আচরণে ভয় পেয়ে যান নিকোলস। তখন তিনি বলেন, ‘আপনারা এখন অনেক বাড়াবাড়ি করছেন। আমি বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করছি।’ সে সময় নিকোলসকে ইলেকট্রিক শক দেয়া হলে তিনি দৌড় দেন।
ভিডিও দেখার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ভয়ানক ভিডিও দেখে অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছেন।
ভিডিও প্রকাশের পর বইছে সমালোচনা ঝড়। এরই মধ্যে ভয়াবহ ওই নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মেমফিস ও নিউইয়র্কসহ বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ মানুষ।