সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

পাকিস্তানিদের মত আওয়ামী হানাদার বাহিনীও জনগণের সব অধিকার হরণ করেছে

বুধবার, ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: জব্বার, বরকতদের দেখানো পথে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রতিজ্ঞা করে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নির্যাতনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল সে সময়ের তরুণ যুবকরা। পুলিশের হামলা, মামলা জব্বার, বরকতদের দমাতে পারেনি। তাদের চোখে মুখে ছিল বাংলা মায়ের ভাষা রক্ষা আর গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার দীপ্ত অঙ্গীকার। সে সময় যে পরিস্থিতি তৈরি করেছিল পাক শাসকেরা, আজকের দিনেও সে পরিস্থিতি তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। যেভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের মাতৃভাষার অধিকার হরণ করেছিল, ঠিক একইভাবে একই কায়দায় আমাদের দেশীয় হানাদার বাহিনী জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। পাকিস্তানিদের মত দেশীয় আওয়ামী হানাদার বাহিনী জনগণের সব অধিকার হরণ করেছে। রাষ্ট্রের সবকটি অঙ্গকে তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে টিকে রাখার সিড়ি হিসাবে ব্যবহার করছে। বর্তমান সরকার জনগনের সরকার নয়, এরা মাফিয়াদের সরকার। তারা মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। তাই, একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সকালে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সিটির নিউ মার্কেট সংলগ্ন মিউনিসিপ্যাল স্কুল মাঠের অস্থায়ী শহীদ মিনারে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জমায়েতে তিনি এসব কথা বলেন।

শাহাদাত হোসেন ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান ও তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

জমায়েতে শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, ‘বিগত তিনটি কারচুপির নির্বাচনে ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে জনগণকে প্রতারিত করা হয়েছে। গণতন্ত্রকে সমাহিত করে আওয়ামী দুঃশাসন দীর্ঘায়িত করতে অবৈধ শক্তির জোরে সাজানো মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তার সব মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে খুব দ্রুত খালেদা জিয়াকে আমরা পরিপূর্ণ মুক্ত করব ইনশাল্লাহ।’

জমায়েতে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘অধিকার আদায় ও অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে ভাষা শহীদরা আমাদের প্রেরণার উৎস। অধিকার বোধের চেতনাকে শাণিত করেছিল একুশে ফেব্রুয়ারি। সেই চেতনা নস্যাৎ করে একদলীয় শাসনের জগদ্দল পাথর আজ জনগণের কাঁধের ওপর চেপে বসেছে। আজকে দেশের জনগণ ভোট দিতে পারে না। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার হারা দেশের মানুষ। তাই, একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের ভোটাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে জয় করতে হবে।’

জমায়েতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এমএ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, এসএম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, এসএম আবুল ফয়েজ, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ূন, মো. সেকান্দর, থানা সাধারণ সম্পাদক বাদশা মিয়া, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, চট্টগ্রাাম মহানগর বিএনপির নেতা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, এসএম সারোয়ার আলম, একেএম পেয়ারু, মো. ইদ্রিস আলী, আজাদ বাঙালি, মোস্তাফিজুর রহমান ভুলু, আলী আজম চৌধুরী, ইউসুফ শিকদার, মো. মহসিন, যুবদলের সদস্য সাইফুর রহমান শপথ, জাসাসের সদস্য আমিনুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর তাঁতী দলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, জাসাসের আহ্বায়ক এমএ মুসা বাবলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, মহিলাদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ছকিনা বেগম, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এসএম মফিজ উল্লাহ, রাসেল পারভেজ সুজন, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, সৈয়দ আবুল বশর, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, আবু ফয়েজ।