ফরিদপুর: মাইক্রোবাসে করে পাত্রী দেখতে যাওয়ার পথে ফরিদপুরের গেরদায় রেলগেট অতিক্রম করার সময় ট্রেনের ধাক্কায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুইজন। নিহত-আহতরা একই পরিবারের স্বজন। নিহতদের মধ্যে তিনজন ছিলেন মা-বাবা ও মেয়ে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের গেরদা রেলগেটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত দুইজনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মুন্সীবাজার দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস দ্রুত গতিতে গেরদা রেলগেট ক্রসিং করছিল। এ সময় রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মধুমতি এক্সপ্রেস নামক একটি ট্রেন ওই মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় ১০০ মিটার দূরে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে রেললাইনের পাশে একটি পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। তখন মাইক্রোবাসটির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত দুইজন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিহত স্বামী-স্ত্রীর মেয়ে তাসরি (২২) জানান, মাইক্রোবাসে করে তারা আটজন নারায়ণগঞ্জের ভূঁইয়া বাড়ি থেকে ফরিদপুরের সদরপুরের চন্দ্রপাড়ায় বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে যাচ্ছিলেন। পথে রেলগেট পার হওয়ার সময় তাদের মাইক্রোবাসটি ট্রেনের ধাক্কায় পুকুরে পড়ে যায়। এতে মাইক্রোবাসে থাকা সবাই হতাহত হয়। এর মধ্যে তার বাবা লিটন চৌধুরী, মা ফাহমিদা শারমিন মনু, বোন সাজু ও তাদের আত্মীয় আতিফা ও রিন্টু মারা যান।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্যা জানান, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছে। দুইজন আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।
তিনি বলেন, ‘দুঃখের বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ওই ক্রসিংয়ে কোন গেটম্যান না থাকায় এমন দুর্ঘটনা ঘটল। নিহত-আহতরা নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’