নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি প্লাবিত হওয়ার ব্যাপারটিকে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব হিসেবে অভিহিত করেছেন নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকোল। পাশাপাশি, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের ঘটনাকে ‘নিও নর্মাল’ ঘটনা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তনের এই ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতেও এমন ঘটনা বার বার ঘটবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) গভর্নর হোকোল বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, আমাদের এই ব্যাপারটিকে স্বাভাবিক হিসেবে মেনে নিতে হচ্ছে।’
সাম্প্রতিক এই বর্ষণ ছিল নিউইয়র্কের ইতিহাসের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের ঘটনা। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল এই সিটিতে অনেক অংশে আট ইঞ্চি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সিটিতে এত বেশি পানি জমে যায় যে, নিউইয়র্কে অবস্থিত পৃথিবীর খ্যাতনামা চিড়িয়াখানা সেন্ট্রাল পার্ক জু’র জলহস্তি সহজেই নিজের খাচা থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়।’
এ দিকে, শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বর্ষণ কিছুটা কমলেও সম্ভাব্য বৃষ্টির আশঙ্কায় নিজেদের সব রোগী ও কর্মীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ব্রুকলিনে অবস্থিত সরকারি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ।
এর আগে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে পানি ঢুকে পড়ায় শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটে হাসপাতালটিতে। চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয় মারাত্মকভাবে।
ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের সুপ্রশস্ত রাস্তাগুলো পরিণত হয় এক একটি নদীতে। সেখানে আটকে পড়ে বাস ও প্রাইভেট কারসহ হাজার হাজার যানবাহন। বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হওয়া বন্ধ করে দেয়া হয় বেশ কিছু সাবওয়ে লাইন ও কমিউটর ট্রেন সার্ভিস। পাশাপাশি, লাগার্ডিয়া বিমানবন্দরের একটি টার্মিনাল ভেসে যাওয়ায় বন্ধ রাখতে হয় বেশ কিছু ফ্লাইটও।
এ দিকে, নিউইয়র্কবাসীর এই দুর্দশায় এগিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার। নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পাশাপাশি, ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিকেও প্রয়োজনে আক্রান্ত এলাকাগুলোতে মোতায়েনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।