শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের বৈঠক

মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি বাংলাদেশের প্রায় এক দশমাংশ এলাকা জুড়ে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা নিয়ে গঠিত পার্বত্য অঞ্চল। এখানে ১১টি পৃথক নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালি জনগোষ্ঠীর বসবাস। পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন আর দুর্গম নয়। রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে পার্বত্য চটটগ্রাম এখন আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য। এখানকার বিভিন্ন ভাষাভাষী নৃ-গোষ্ঠীসহ সকলের জীবনে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির অভিযাত্রা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও এর অন্যান্য সংস্থাগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার অফিস কক্ষে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের উন্নয়ন সংক্রান্ত ও দ্বি-পাক্ষিক বিষয়ের উপর আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় সুপ্রদীপ চাকমা আরো বলেন, ‘এ দেশ সব নাগরিকের দেশ। সমাজকে বৈষম্যহীন করে গড়ে তুলতেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। আমরা সবাই সমান ও সমতার ভিত্তিতে মিলেমিশে বসবাস করছি।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সব সময় আমাদের বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে এ জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে শক্তিশালী করতে চাই। এর ধারাবাহিকতায় পরিবেশ রক্ষার, ইকো ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট, শিক্ষা স্বাস্থ্যসহ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ সব ক্ষেত্রে পার্বত্য অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর জীবন মানোন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে।’

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘সকলের মধ্যে কনফিডেন্স গড়ে তোলাই হল আমাদের প্রধান কাজ। সকলের জন্য ন্যায় বিচারভিত্তিক দেশ গঠনের জন্য আমরা কাজ করছি। আমরা শিক্ষার প্রতি অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছি। ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের সব ছাত্রছাত্রীর পড়ালেখার মান বৃদ্ধি করা হবে এবং এ লক্ষ্যে পার্বত্য অঞ্চলের বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জীবনমানের সার্বিক উন্নয়নে বিবিধ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এছাড়াও, দুর্গম এলাকায় সরকারের বিভিন্ন সেবা পৌঁছে দেয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’

এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সুশাসন, ট্যুরিজম, সমউন্নয়ন, পাহাড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বৃদ্ধি, শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন, নারী ক্ষমতায়ন ইত্যাদি বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আরো বেশি কাজ করার সুযোগ রয়েছে মর্মে অভিমত প্রকাশ করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনাকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব একেএম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্মসচিব কংকন চাক্মা, উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার একান্ত সচিব খন্দকার মুশফিকুর রহমান, উপসচিব মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পলিটিক্যাল-ইকোনোমিক কাউন্সিলর এরিক গ্রিল্যান, হিউম্যান রাইটস অফিসার অ্যানে ডটারলি, ইউএসএইড মিশন ডিরেক্টর রিড এসেলিম্যান, প্রটোকল সুপারভাইজার নিশাত তাসনীম উপস্থিত ছিলেন।