বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

পিটার হাসের বাসায় একসাথে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাপার পাঁচ নেতা

রবিবার, আগস্ট ১৩, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

গুলশান, ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা দুই কংগ্রেসম্যানের সাথে বৈঠক করতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় গিয়েছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দল। রোববার (১৩ আগস্ট) বিকালে পিটার হাসের বাসায় ঢুকেন তিন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।

এই বৈঠকে অংশ নিতে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি গিয়েছেন। আওয়ামী লীগের পক্ষে শরীয়তপুর-তিন আসনের সাংসদ নাহিম রাজ্জাক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ তামান্না নুসরাত বুবলি ও জাতীয় পার্টির পক্ষে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি মিসেস শেরিফা কাদের ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত নীলফামারী-তিন আসনের সাংসদ মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল গিয়েছেন।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিরপেক্ষ কিংবা তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে। সৌহার্দ্য পরিবেশের নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কেয়ার টেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। একদলীয় শাসনের অধীনে নির্বাচন এত দিন হয়েছে। তাই, সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিবার্চন নিয়ে আলোচনা হয়েন। তারা জানতে চেয়েছিল বলেই এসব কথা হয়েছে।’

বৈঠকে কংগ্রেসম্যান এড কেইস আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলকে বলেন, ‘শুধু আপনাদের দেশে নয়, পুরো পৃথিবীর কাছে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হবে।’

উত্তরে আওয়ামী লীগের নেতারা নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে তাদের আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। একই সাথে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির কথা জানান।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব কী কারণে- সেই বিষয়টি উল্লেখ করা হয় বলে জানা গেছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কমে যাচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশে যেন গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকে সেটা চায় যুক্তরাষ্ট্র।

আইনের মাধ্যমে সরকার নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানকে জানান আওয়ামী লীগের এক সদস্য। আওয়ামী লীগের ওই প্রতিনিধি বলেন, ‘সামনের অধিবেশনে আরেকটা আইন আসবে। সেখানে নির্বাচনকালে বিশৃঙ্খলা করা, সাংবাদিকদের বাধা দিলে শাস্তির বিধান রাখা হবে।’

জানতে চাইলে রানা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘ওনারা বলেছেন, বাংলাদেশে এমন ধরনের নির্বাচন হওয়া উচিত, যেন বহির্বিশ্ব বলতে পারে নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে।’