প্যারিস, ফ্রান্স: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার (২ ডিসেম্বর) বলেছেন, ‘তিনি সপ্তাহান্তে প্যারিসে পুনর্নির্মিত নটরডেম গির্জার পুনরায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।’ গির্জাটি ২০১৯ সালের আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। এএফপির।
চ্যালেঞ্জিং পুনরুদ্ধারের পরে ৮৫০ বছরের পুরানো ভবনটি আগামী শনিবার ও রোববার ফের দর্শনার্থী ও উপাসকদের জন্য খুলে দেয়া হবে এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা যোগ দেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
তার ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘এটা ঘোষণা করা একটি সম্মানের বিষয় যে, আমি শনিবার (৭ ডিসেম্বর) মহতী ও ঐতিহাসিক নটরডেম ক্যাথেড্রালের পুনরায় উদ্বোধনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ফ্রান্সের প্যারিস ভ্রমণে যাচ্ছি, পাঁচ বছর আগে একটি বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের পরে এটি সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।’
শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) মধ্যযুগীয় ক্যাথেড্রালের পুনরুদ্ধারের একটি পরিদর্শন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেছেন, ‘শ্রমিকরা একটি জাতীয় ক্ষত নিরাময়ে অসম্ভবকে সম্ভব করেছে।’
তিনি পাঁচ বছরের মধ্যে নটরডেম পুনর্নিমাণের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন এবং এটিকে আগের চেয়ে আরও বেশি সুন্দর করে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন, ফরাসি কর্তৃপক্ষ বলেছে যে লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।
ট্রাম্প লিখেছেন যে, ‘ম্যাখোঁ নটরডেমকে তার আরও বেশি পূর্ণ গৌরবের স্তরে পুনরুদ্ধার করা নিশ্চিত করার জন্য একটি দুর্দান্ত কাজ করেছেন। এটি সবার জন্য একটি বিশেষ দিন হবে!’
প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ইউরো (আজকের হারে ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি) ব্যয়ে প্রায় ২৫০টি সংস্থা এবং শত শত বিশেষজ্ঞকে পুনরুদ্ধার কাজের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল।
১৫০টি দেশ থেকে সংহতির প্রকাশ করে প্রদত্ত ৮৪৬ মিলিয়ন ইউরোর অনুদান থেকে এর অর্থায়ন করা হয়েছে।
ম্যাখোঁ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বলেছিলেন যে, ‘তিনি পোপ ফ্রান্সিসকে ক্যাথেড্রালটি পুনরায় উদ্বোধন করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু, কিছু পর্যবেক্ষককে অবাক করে দিয়ে ক্যাথলিক চার্চের প্রধান সেপ্টেম্বরে ঘোষণা করেন, তিনি আসবেন না।’
তার বদলে, পোপ পরের সপ্তাহান্তে ফরাসি দ্বীপ কর্সিকাতে একটি যুগান্তকারী সফর করছেন।