মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

শিরোনাম

প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে নিউইয়র্কে ইন্দোনেশিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রীর বৈঠক

সোমবার, অক্টোবর ১০, ২০২২

প্রিন্ট করুন

চলমান নিউইয়র্ক ডেস্ক: প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে শুক্রবার (৭ অক্টোবর) নিউইয়র্কে বৈঠক করেছেন ইন্দোনেশিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রী জুলকিফলি হাসান। ইন্দোনেশিয়ান প্রবাসী আমেরিকান শামসী আলীর সভাপতিত্বে এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এনআরবির চেয়ারপারসন এমএস সেকিল চৌধুরী।

বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে ব্যবসায়-বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে বৈঠকে সেকিল চৌধুরী বলেন, ‘হাইটেক থেকে শুরু করে মাজারি সাইজের শিল্প স্থাপনের যথেষ্ট সম্ভাবনা বাংলাদেশে আছে; যা ইন্দোনেশিয়ান ব্যবসায়ীরা কাজে লাগাতে পারেন। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও কৃষি খাতে দুইটি বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য বিকাশের সুযোগ রয়েছে।

তিনি বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবসায়ী ভিসা দেয়ার জন্য ইন্দোনেশিয়ার মন্ত্রীর কাছে আহবান জানান ।

সেকিল চৌধুরী মন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান ও বাংলাদেশে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন।

বৈঠকে সেকিল চৌধুরী মন্ত্রীকে এনআরবি সেন্টারের একটি এমব্লেম উপহার দেন।

জুলকিফলি হাসান বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে ব্যবসায়-বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন উল্লেখ করে বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমরা নানামুখী বাণিজ্য বিস্তারের চেষ্টা করছি ও বাংলাদেশ এর কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে।’

তিনি জানান, শিগগির তিনি বাংলাদেশ সফর করবেন ও সেখানে বাংলাদেশের সাথে অগ্রাধিকারভিত্তিক বাণিজ্য চুক্তি করার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।

বৈঠকে বাংলাদেশ আমেরিকান বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ফখরুল ইসলাম দেলওয়ার জুলকিফলি হাসানকে প্রবাসী বাংলাদেশী আমেরিকানদের সাথে বৈঠকে আসায় ধন্যবাদ জানান ও বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়ার বাণিজ্য বিকাশে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বৈঠকে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনজুর আহমদ চৌধুরী, সেক্রেটারি আফতাব মান্নান, সাবেক প্রেসিডেন্ট ওয়াদুদ ভূইয়া, ইউএস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডন্ট মোহাম্মদ লিটন আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট রুম্মান বিরতিজ, পরিচালক শেখ ফরহাদ, ব্যাংকার ওয়াসেফ চৌধুরি, ব্যবসায়ী সরদার সিরাজুল ইসলাম, সৈয়দ জিয়াউস শামস, খলকু কামাল, শহিদুল্লাহ এবং নিউইয়র্ক কনস্যুলেট ও ওয়াশিংটনের এম্বেসিতে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা যোগ দেন।