সোমবার, ২০ মে ২০২৪

শিরোনাম

প্রভাব বিস্তার নিয়ে চট্টগ্রাম কলেজে ফের নিজেদের মধ্যে মারপিট ছাত্রলীগের

বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: প্রভাব বিস্তার নিয়ে চট্টগ্রাম কলেজে ফের মারপিট করেছে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। এতে দুই পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে কলেজের কাঠালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার এক পর্যায়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।

আহতদের সকলের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের জনি নামের একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কয়েক মাস ধরে কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে অস্থিরতা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমও বেশ কিছু দিন ধরে ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারছেন না। মাহমুদুল করিমের পক্ষের বেশিরভাগ নেতাকর্মী এখন সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম মনিরকে সামনে রেখে রাজনীতি করছেন। তবে, ব্যাপারটি সহজে মানতে পারেননি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ। তিনি মনিরকে সাথে নিয়ে ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে আগ্রহী নন। ফলে, দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য ধরে রাখা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া লেগেই আছে।

এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে মনিরুল ইসলাম মনির বলেছেন অন্য কথা। তিনি বলেন, ‘স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তির সময় কাগজপত্র জমা দিতে শিক্ষার্থীদের খামের প্রয়োজন হয়। ২০ টাকার সেই খাম ১০০ টাকায় শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করছেন সুভাষ মল্লিক ও তার অনুসারীরা। প্রতিবাদ করায় কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীকেও তারা মারধর করেছেন। আমরা বেশি মূল্যে খাম বিক্রির কারণ জানতে চাওয়ায় তারা গায়ে পড়ে বার বার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।’

এ দিকে, সুভাষ মল্লিক সবুজ বলেন, ‘মাহমুদুল করিম দীর্ঘ দিন যাবৎ ক্যাম্পাসে নেই। এখন আচমকা এসে মনিরুল ইসলাম মনির নামের একজন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবি করে তার সাথে রাজনীতি করতে বলছেন। কিন্তু, আমাকে তো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কিংবা চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি এ রকম কোন নির্দেশনা দেয়নি। আমার পক্ষে তাই তাকে সঙ্গে নিয়ে কলেজে রাজনীতি করা সম্ভব না। সেই জন্য বার বার এসে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।’

মারাপিটের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক সারওয়ার আজম। তিনি বলেন, ‘ছাত্রদের দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ দুই পক্ষকেই ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।’