ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন তার এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাইক পেন্স। এবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে রিপাবলিকান পার্টি থেকে চূড়ান্ত টিকিট পাওয়ার জন্য প্রচারণাও শুরু করেছেন।
মাইক পেন্স এক সময় ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছায়াসঙ্গী। ২০১৭-২০২১ সাল পর্যন্ত তার শাসনামলে সামলেছেন ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব। সেই মাইক পেন্সই তীব্রভাবে আক্রমণ শানিয়েছেন তার সাবেক বসের বিরুদ্ধে। ট্রাম্পের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগীই এবার হয়ে উঠেছেন ট্রাম্পের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী।
সিএনবিসি, এবিসি নিউজসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বুধবার (৭ জুন) আইওয়াতে প্রচারণা চালানোর সময় মাইক পেন্স ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেন। এ সময় ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ক্যাপিটল হিলে হামলায় উসকানি, গুরুত্বপূর্ণ নথির অপব্যবহারসহ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।’
এছাড়া, নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে হেরে যাওয়ার পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংবিধানের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচনী ফলাফল পাল্টাতে বলেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন মাইক পেন্স। এসব কারণে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন মাইক।
সাবেক এ মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিলের হামলার ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘৬ জানুয়ারির ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একটি কালো দিন হয়ে থাকবে। তবে, সেদিন আমি মার্কিন সংবিধানকে বেছে নিয়েছিলাম ও সব সময় সেটিই করব।’
যদিও ৬৪ বছর বয়সী মাইক পেন্স ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ছিলেন ট্রাম্পের একনিষ্ঠ সমর্থক। তার বিতর্কিত সব কাজে সমর্থনও দিয়েছেন। তবে, ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের হারের পর তিক্ত হয়ে ওঠে দুজনের সম্পর্ক।
২০২৪ সালে হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়ন দৌড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়াও রয়েছেন ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডি স্যান্টিস, নিউ জার্সির গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি। এ প্রতিযোগিতায় এবার সামিল হলেন ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘দলীয় মনোনয়নে বেশি সংখ্যক প্রার্থী থাকায় ট্রাম্প বিরোধী ভোট ভাগ হয়ে যাবে একাধিক প্রার্থীর মধ্যে। তাই, দলে ট্রাম্পের একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী থাকায় মনোনয়নের দৌড়ে উল্টো লাভবান হবেন ট্রাম্প।
মে মাসে প্রকাশিত এক জরিপে দেখা যায়, ৪৪ শতাংশ সমর্থন নিয়ে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। এ ক্ষেত্রে, পেন্সের সমর্থন মাত্র পাঁচ শতাংশ।