শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

প্রেসিডেন্ট হলে শত্রু দেশে সহায়তা বন্ধ করবেন নিকি হ্যালি

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন
নিকি হ্যালি

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের হয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশী নিকি হ্যালি বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রবিদ্বেষী দেশগুলোর জন্য বিদেশি সহায়তা বন্ধ করে দেবেন। এসব দেশকে কোন সহায়তা দেবেন না। সম্প্রতি নিউইয়র্ক পোস্টে লেখা এক মন্তব্য প্রতিবেদনে হ্যালি এসব কথা লিখেছেন।

আগামী ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের হয়ে মনোনয়ন পাওয়ার আশায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন নিকি হ্যালি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে সাউথ ক্যারোলিনা রাজ্যের গভর্নর ছিলেন তিনি। পাশাপাশি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও কাজ করেছেন নিকি।

নিউইয়র্ক পোস্টের মন্তব্য প্রতিবেদনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে সহায়তা বন্ধ করে দেয়ার অঙ্গীকার করে হ্যালি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রবিদ্বেষী দেশগুলোকে সহায়তা বাবদ আমি এক পয়সাও দেব না। গর্বিত যুক্তরাষ্ট্র খারাপ লোকদের সহায়তা দেয় না। গৌরবান্বিত যুক্তরাষ্ট্র তাদের জনগণের কষ্টে উপার্জিত অর্থ নষ্ট হতে দেয় না। সেই নেতারাই আমাদের আস্থা অর্জন করতে পারে, যারা শত্রুর বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়ায় ও বন্ধুদের পাশে থাকে।’

হ্যালি বলেন, ‘গল বছর যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি সহায়তা বাবদ চার হাজার ৬০০ কোটি ডলার খরচ করেছে, যা অন্য সব দেশের তুলনায় বেশি।’ দেশের অর্থ কোথায় যাচ্ছে করদাতাদের তা জানার অধিকার আছে বলে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ অর্থ যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী দেশে যাচ্ছে, তা জানতে পারলে করদাতারও আঁতকে উঠবেন।’

এ দিকে, ২০২৪ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়ে আগে থেকেই মাঠে রয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বছরের নভেম্বরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন। রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রার্থী হয়ে ২০১৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হয়েছিলেন ট্রাম্প। তার এ জয় বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল।

২০২০ সালের নির্বাচনেও ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষ ছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন। নির্বাচনে বাইডেনের কাছে হেরে যান ট্রাম্প। কিন্তু, নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন তিনি। এমনকি এখন পর্যন্ত পরাজয় স্বীকার করেননি।