নয়াদিল্লী, ভারত: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদে গঙ্গা নদীর ওপর অবস্থিত ফারাক্কা ব্যারাজের সব গেট বা জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে গেলকাল সোমবার (২৬ আগস্ট)। ব্যাপারটি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের নানা প্রতিক্রিয়ার আলোকে মুখ খুলেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলেছেন।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রকাশিত বিবৃতি অনুসারে, রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘আমরা গণ মাধ্যমে ফারাক্কা ব্যারাজের গেটগুলো খুলে দেয়ার সংবাদ দেখতে পেয়েছি। যার ফলে, গঙ্গা বা পদ্মা নদীতে স্বাভাবিক গতিপথ ধরে ভাটির দিকে ১১ লাখ কিউসেক পানি প্রবাহিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘এটি খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। মূলত উজানে গঙ্গা নদীর অববাহিকায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পানির প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে এমনটা ঘটেছে।’
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘এটি বুঝতে হবে যে, ফারাক্কা একটি ব্যারাজ, ড্যাম নয় (ব্যারাজ হল পানির প্রবাহের ওপর এমন একটি বাধা, যার সাহায্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি অন্য দিকে প্রবাহিত করা হয় এবং ড্যামের মাধ্যমে কোন প্রবাহের ওপর বাধা দিয়ে উজানে পানি ধরে রাখা হয়)।
যখনই এখানে পানি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে আসে, তখন তা স্বাভাবিক গতিতে বয়ে যায়।’
ফারাক্কা ব্যারাজের উদ্দেশ্য তুলে ধরে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘এটি কেবল একটি কাঠামো, যার মাধ্যমে খুব সাবধানে প্রধান নদী গঙ্গা বা পদ্মা ওপর একটি গেট সিস্টেম ব্যবহার করে ফারাক্কা খালে ৪০ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহিত করা হয় ও ভারসাম্যপূর্ণ পানি প্রধান নদী হয়ে বাংলাদেশের দিকে প্রবাহিত হয়।’
ফারাক্কা ব্যারাজের গেট খুলে দেয়ার তথ্য আদান-প্রদান প্রসঙ্গে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘প্রটোকল অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত নিয়মিত ও সময়মত বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তাদের সাথে শেয়ার করা হয়, এবারো তা-ই করা হয়েছে।’
তিনি আরা বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টির জন্য এ ব্যাপারে ভুয়া ভিডিও, গুজব ও ভীতি ছড়ানোর ব্যাপারটি আমরা দেখেছি।’
‘দৃঢ়ভাবে সত্য তথ্যের মাধ্যমে এ ব্যাপারটির মোকাবেলা করা উচিত।’