ওয়াশিংটন/পশ্চিম তীর: সম্প্রতি ইসরায়েলিদের গুলিতে ১৯ বছরের এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়। ইসরায়েলের এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়ে, ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বানও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। শুক্রবার (৪ আগস্ট) পশ্চিম তীরের বুরকা এলাকায় এক দল ইসরায়েলি দখলদার সশস্ত্র হামলা চালায় স্থানীয়দের ওপর। খবর আল জাজিরার।
এর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় হামলাকারীদের গুলিতে কুসাই জামাল মাতান নামে এক কিশোর নিহত ও আরো কয়েকজন আহত হন।
বিবৃতিত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ইসরায়েলি চরমপন্থি বসতি স্থাপনকারীদের সন্ত্রাসী হামলায় যে ১৯ বছরের ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি, এ ঘটনায় দোষীদের সম্পূর্ণ জবাবদিহিতা ও বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাই।
এ দিকে, সোমবার (৭ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিশ্চিত করেছেন, শনিবারের (৫ আগস্ট) বিবৃতিতে উল্লেখিত শব্দগুলো (সন্ত্রাসী) ‘দুর্ঘটনাবশত’ ব্যবহার করা হয়নি।
তিনি জানান, এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা ছিল এবং এ বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। সে জন্যই আমরা ওই কথাগুলো বলেছি।
মিলার আরো বলেন, ‘আমরা এটিও স্পষ্ট করেছি, অপরাধী যেই হোক না কেন, হিংসাত্মক চরমপন্থার সব ক্ষেত্রেই সমান কঠোরতার সাথে জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার অনুসরণ করা উচিত।’
বলে রাখা ভাল, রামজি ফাথি হামেদ (১৭) একটি গাড়িতে বসে থাকার সময় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী তাকে গুলি করেন। গেল শুক্রবার পশ্চিম তীরের উত্তরে সিলওয়াদ শহরের ওফরা অবৈধ বসতির কাছে এ ঘটনা ঘটে বলে শহরের মেয়র রায়দ হামেদ জানিয়েছিলেন। হামেদের বুকে ও পেটে দুটি গুলি লেগেছিল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। পরে, তার মৃত্যু হয়। হামেদকে গুলি করার আগে শুক্রবার রামাল্লার কাছে বোরকায় ১৯ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি কুসাই জামাল মাতানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হামলায় আহত হয়েছিলেন আরো দুজন। বাসিন্দারা জানিয়েছে, সশস্ত্র বসতি স্থাপনকারীরা কাছাকাছি একটি সেটেলমেন্ট ফাঁড়ি থেকে বোরকায় আসে ও তিন দিক থেকে তাদের আক্রমণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী আহমেদ বারকাত বলেন, ‘তারা বাসিন্দাদের লাঞ্ছিত করে ও দুটি গাড়িতে আগুন দেয়।’
আক্রমণের সময় বসতি স্থাপনকারীদের আরো অগ্রসর হতে বাধা দিতে ফিলিস্তিনিরা পাথর ছুড়েছিল। জবাবে তারা ফিলিস্তিনিদের দিকে গুলি চালায়। বুরকায় শুক্রবারের ওই হামলার পর দুই বসতি স্থাপনকারীকে আটক করেছে ইসরায়েল। এটিকে ‘সঠিক পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র। কিন্তু, মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সন্দেহভাজন দুই অপরাধীকে ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেরুজালেম জেলা আদালত। রায়ে বলা হয়েছে, দুইজনের একজন গৃহবন্দি থাকবেন ও আরেকজনকে হাসপাতালে রাখতে হবে।’