নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও সব রাজ্যে ফ্রাঞ্চাইজ খোলার অনুমোদন পেয়েছে নিউইয়র্কের ‘খলিল বিরিয়ানি হাইস’। গেল সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্ক সিটি (এনওয়াইসি) ও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল গভর্নমেন্ট এ অনুমোদন দেয়। এ প্রথম কোন বাংলাদেশি কম্যুনিটির রেস্টুরেন্ট যুক্তরাষ্ট্রে ফ্রাঞ্চাইজ খোলার অনুমোদন পেল। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি খাবার যুক্তরাষ্ট্রে আরো বেশি ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পাবে।
এ সুসংবাদ জানিয়ে খলিল গ্রুপের চেয়ারম্যান শেফ মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বলেন, ‘অনেকে বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টে অন্য দেশের খাদ্য বিক্রি করে থাকে। আমরা শুধুমাত্র বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী খাবারই পরিবেশন করছি। তাছাড়া, আমার নিজস্ব রেসিপি অনুযায়ী যে খাবার প্রস্তুত করা হয়, তাতে থাকে বাছাই করা উপাদান। আর থাকে উন্নত মানের অয়েল। সে কারণে নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরাসহ অন্য দেশী মানুষও খলিলের খাবার পছন্দ কর।’
খলিলুর রহমানের ভাষায়, ফুড যেমন কালচার তেমনই হেলথও। তিনি এ দুইটি বিষয়ের সমন্বয় করে তার ব্যবসায়কে মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছেন।
খলিলুর রহমান পূর্বে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে কুক হিসাবে কাজ করেছেন। সার্টিফাইড শেফ হওয়ার পরে ২০১৭ সালে ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টারে ক্ষুদ্র পরিসরে খলিল বিরিয়ানি নামে রেস্টুরেন্ট চালু করেন। এ রেস্টুরেন্টের খাবারের সুনাম ছড়িয়ে পড়লে তিনি ইউনিয়ন পোর্ট রোডে বড় রেস্টুরেন্ট খুলেন। এরপর তার সুনাম যত ছড়িয়ে পড়েছে, ততই তার ব্যবসায় সম্প্রসারিত হয়েছে। বর্তমানে জ্যামাইকা ও জ্যাকসন হাইটসেও তার শাখা রয়েছে।
শেফ খলিলুর রহমান জানান, খলিল বিরিয়ানি ফ্রাঞ্চাইজ দেয়ার পর শেফ ও কর্মী প্রয়োজন হবে। তার প্রতি লক্ষ্য রেখে তিনি ঢাকায় ‘খলিল ক্যুলিনারি আর্ট সেন্টার’ নামে একটি স্কুল খুলছেন। ইতিমধ্যে এর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পিছনে হাসান কোর্টে এ স্কুল হবে। সেখানে ছয় মাস ও তিন মাসের ডিপ্লোমা কোর্স করানো হবে। এছাড়াও, এক মাস ও সাত দিনের সার্টিফিকেট কোর্সও করানো হবে। তবে, মূলত হোটেল ম্যানেজমেন্ট এবং ফুড ও ড্রিংক্সের ওপর স্কিল ডেভেলপমেন্ট করানো হবে।
তিনি বলেন, ‘খলিল ক্যুলিনারি আর্ট সেন্টার থেকে ডিপ্লোমা করার পর তারা বিদেশেও যেতে পারবেন।’
শেফ হিসাবে মোহাম্মদ খলিলুর রহমান নিউইয়র্কের ক্যুলিনারি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করা সার্টিফাইড শেফ।