চট্টগ্রাম: ‘গৌরবের পঞ্চাশে, মিলি প্রাণের উচ্ছ্বাসে’- এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৫০ বছর পূর্তি সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব ২০২৩ দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল- বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা, সম্মাননা প্রদান, ডকুমেন্টারী প্রদর্শন, স্মৃতিচারণ, পুরস্কার বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যাফল ড্র ইত্যাদি।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য র্যালি ও পরবর্তী অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চবির উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবির জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর মো. তৌহিদ হোসেন, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদ ও চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর মোহাম্মদ আলী আজাদী। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর শফিক হায়দার চৌধুরী। চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর মো. মনজুরুল কিবরীয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তা হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন ভারতের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর আশিষ কুমার পানিগ্রাহী। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক সচিব অপরূপ চৌধুরী ও অনলাইনে সংযুক্ত থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক হুমায়রা হক ও মোহাম্মদ শামছিল আরেফিন।
উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দসহ উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগ ঐতিহ্যবাহী বিভাগ হিসেবে ৫০ বছর পারে করে আজ সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে। এ বিভাগের অনেক কীর্তিমান শিক্ষক-গবেষক অধ্যাপনা করেছেন ও করছেন।’
উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) বলেন, ‘দীর্ঘ ৫০ বছরের পথ পরিক্রমায় এ বিভাগের অনেক জ্ঞানী-গুণী শিক্ষকের সান্নিধ্যে থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা জীবন শেষে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মানবকল্যাণ ও মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণসহ দেশের সার্বিক উন্নয়ন-অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।’
উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জ্ঞান-গবেষণায় অধিকতর ব্রতী হবার আহবান জানান।
প্রসঙ্গক্রমে বেনু কুমার দে বলেন, ‘প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজকে নবীন-প্রবীণের যে অপূর্ব মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে, এ সম্পর্ক চির অম্লান করে রাখার জন্য সকলকে আন্তরিক থাকতে হবে।’
তিনি সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। অনুষ্ঠানে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের পক্ষ থেকে অতিথিদেরকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক-গবেষকবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ, এলামনাই সদস্যবৃন্দ ও সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগ তথা জীববিজ্ঞান অনুষদ ভবন বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। এ ছাড়া, চবির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়।