ক্যামব্রিজ, ম্যাসাচুসেটস: পুলিশের গুলিতে ২০ বছর বয়সী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থী সৈয়দ ফয়সাল আরিফ খুনের ঘটনায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ক্যামব্রিজ শহরের মেয়র অফিস ও পুলিশ দফতরের সামনে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় জনতা। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।
মিশিগান, ক্যান্টাকির পর এবার পুলিশের গুলিতে নিহত বোস্টনের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সৈয়দ ফয়সাল আরিফ। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে উত্তাল স্থানীয় জনতা। ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারের মত ‘বাংলাদেশি লাইভস ম্যাটার টু’ স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভে অংশ নিয়ে একজন বলেন, ‘আমরা মনে করছি, পুলিশ চাইলেই তাকে বাঁচাতে পারত। এ জন্য আমরা মেয়র অফিস ও পুলিশ দফতরের সামনে বিক্ষোভে নেমেছি। এখানে বাংলাদেশসহ অন্যান্য কমিউনিটির মানুষ এসেছেন ও প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন।’
এরপর তারা যান পুলিশ দফতরে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের দাবি জানান তারা। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত আরিফের বাবা।
আরিফের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলের ব্যাকগ্রাউন্ড আপনারা যাচাই করতে পারেন। আমি এ ঘটনা মেনে নিতে পারছি না।’
পুলিশের বিচারের দাবিতে সোমবার (৯ জানুয়ারি) ক্যামব্রিজ সিটি হলের সামনে ফের বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন স্থানীয় নেতারা।
পুলিশের দাবি, স্থানীয় সময় বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে ছুরি হাতে থাকা সৈয়দ ফয়সাল আরিফকে ধাওয়া করে তারা। এক পর্যায়ে আরিফকে ছুরি ফেলে দিতে বললে তিনি পুলিশের দিকে এগুতে থাকেন। এ সময় পুলিশ তার বুকে পরপর পাঁচটি গুলি করে।
সৈয়দ ফয়সাল আরিফ ম্যাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটির ছাত্র। তার বাবা মুজিবর রহমান বোস্টন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা। তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে।