কক্সবাজার: বাংলাদেশে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন সফররত যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায় তিনি বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হওয়া দরকার।’
আফরিন আখতার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
সোমবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সাথে বৈঠকের পর আফরিন বলেন, ‘সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম ও অন্যান্য সব পক্ষের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অবাধে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার ব্যাপারেও তারা আলোচনা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সাথে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, আমাদের দীর্ঘ দিনের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নসহ বিস্তৃত বহুমুখী সম্পর্কসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।’
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সাথে আখতারের বৈঠকের পর ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তারা দুই দেশের মধ্যে ‘শক্তিশালী বহুমুখী’ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও এর নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, দীর্ঘ দিনের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, মধ্যপ্রাচ্য, স্বাধীন ও নির্দলীয় নির্বাচন জরিপ দলের সাম্প্রতিক সফর এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সমর্থন নিয়ে আলোচনা হয়।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) আরআরআরসির মিজানুর রহমানের সাথে তার বৈঠকের কথা উল্লেখ করে আখতার বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের যে কোন প্রত্যাবাসন ‘স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ’ হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল না হওয়ায় প্রত্যাবাসনে জোরপূর্বক কোন প্রচেষ্টা চালানো উচিত নয়।’
আখতার বলেন, ‘তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনসহ একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে আমরা বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাব।’
তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা ও ‘অবিশ্বাস্য উদারতার’ প্রশংসা করেন। ‘আমরা সত্যিই উদারতার প্রশংসা করি।’ বলেন তিনি।
২০১৭ সালে দমন পীড়ন থেকে বাঁচতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।