ঢাকা: বাংলাদেশে ফ্লাইট কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে চায় মালয়েশিয়া ভিত্তিক এয়ারলাইনস এয়ার এশিয়া। বাংলাদেশের অন্যতম জনশক্তি রপ্তানির দেশ মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে প্রবাসীদের যাতায়াত এবং পণ্য আমদানি-রপ্তানি সুবিধা বাড়াতে এয়ার এশিয়া এসব দেশের সাথে ফ্লাইট বাড়াতে চায়।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন এয়ার এশিয়া গ্রুপের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ক্যারেন চ্যান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের সাথে বিভিন্ন দেশের আকাশ যোগাযোগ সম্প্রসারণে এয়ার এশিয়া এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মধ্যেকার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করতে প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় অবস্থান করছে।
সংবাদ সম্মেলনে এয়ার এশিয়া বাংলাদেশের পক্ষে জিএসএ টোটাল এয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের পরিচালক (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) কাজী শাহ মুজাকখের আহমেদুল হকসহ এয়ার এশিয়া গ্রুপ প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্য ও স্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এয়ার এশিয়া গ্রুপের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ক্যারেন চ্যান বলেন, বাজেট ফেয়ার, কাস্টমার সন্তুষ্টি ও যথাসময়ে ফ্লাইট পরিচালনার কারণে ইতিমধ্যে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়ায় এয়ার এশিয়া জনপ্রিয় রুট হিসেবে পরিচিত। গত বছরের তুলনায় ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি বাড়িয়ে ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে প্রতিদিন তিনটি এবং ঢাকা-ব্যাংকক রুটে প্রতিদিন একটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ার এশিয়া। ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়া রুটে নতুন করে সরাসরি ফ্লাইট অপারেশনের সুযোগ আছে কি না, সে বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।’
তবে, এ মুহূর্তে ইন্দোনেশিয়া-কুয়ালালামপুর রুটে প্রতিদিন সরাসরি ছয়টি ফ্লাইট পরিচালনা করায় কানেকটিং ফ্লাইটে ঢাকার যাত্রীদের সময় নষ্ট হয় না বলে জানান তিনি।
ক্যারেন চ্যান বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও জাপানে অনেক বাংলাদেশী বসবাস করে। তাই, অভিবাসন আয়ের এসব দেশেও বাংলাদেশীদের যাতায়াত সেবা দিতে চায় এয়ার এশিয়া।’
ঢাকা বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল চালু হলে সব ধরনের সেবা দেয়ার সুযোগ আরো বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে পৃথিবীর ২২টি দেশের ১৬৫টি গন্তব্যে ফ্লাইট অপারেশন করছে এয়ার এশিয়া।