রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বাংলাদেশে বিরোধী দলের সদস্যদের গ্রেফতার ও নির্যাতনের খবরে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩

প্রিন্ট করুন
ম্যাথিউ মিলার

ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে ‘ডিপ ফেকের’ উত্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সমস্যাটি বর্তমানে বৈশ্বিক প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। এই প্রবণতায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে ব্যবহৃত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটনে প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বাংলাদেশে নির্বাচন সংক্রান্ত কুতথ্যে ডিপ ফেকের উদ্বেগজনক বিকাশের ব্যাপারটি তুলে ধরেন।

ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকর্তা দাবি করেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘তারা যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ম্যানেজ’ করতে পারবেন।

উত্তরে মিলার সহিংসতা বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই অবাধে প্রাক-নির্বাচন ও নির্বাচনী পরিবেশে অংশগ্রহণের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সব অংশীজনের সাথে কাজ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সুস্থ গণতন্ত্র বিভিন্ন মত প্রকাশ থেকে উপকৃত হতে পারে। সেসব মত প্রকাশ সমসাময়িক ব্যাপারে স্বাধীনভাবে করা হয় এবং এ নিয়ে আলোচনা হয়।’

মিলার আরো বলেন, ‘বিরোধী দলীয় সদস্যদের গণগ্রেফতার ও কারাগারে নির্যাতনের সংবাদে তারা ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’।

এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তারা রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছে না। বরং, যারা যানবাহন ও মানুষের ওপর অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িত ও যারা সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে, তাদের গ্রেফতার করছে।’

ম্যাথিউ মিলার সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন ও সহিংসতা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

আব্দুল মোমেন সম্প্রতি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় ও যুক্তরাষ্ট্র অহিংস নির্বাচন দেখতে চায়।’

মোমেন বলেন, ‘তারা অহিংস নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। কারণ, এটি রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সবার আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে।’