ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে এক নতুন ভিসা নীতির কথা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নীতির আওতায় যে কোন বাংলাদেশি ব্যক্তি যদি সে দেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য দায়ী হন বা এ রকম চেষ্টা করেছেন বলে প্রতীয়মান হয় – তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দেয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে। খবর বিবিসির।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ্যান্টনি ব্লিংকেন বুধবার (২৫ মে) এ কথা ঘোষণা করেন।
র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞার দেড় বছর পর ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতির ঘোষণা এল। নতুন নীতির অধীনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা বন্ধ হয়ে যাবে।
অ্যান্টনি জে ব্লিংকেন বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়ে দাবি করেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের স্বার্থেই তাদের এ পদক্ষেপ।
বিবৃতিতে ব্লিংকেন আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে যারা এগিয়ে নিতে চায়, তাদের সবাইকে সমর্থন দিতে এ নীতি ঘোষণা করেছেন তিনি।
তার ভাষ্য মতে, ‘এ নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোন বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এর আওতায় পড়বেন বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার-সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যবৃন্দ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, বিচারবিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সদস্যরা।