ঢাকা: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীন দল রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা নির্মূল করায় বাংলাদেশ একটি ‘একদলীয়’ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। দেশে আর কোন রাজনীতি অবশিষ্ট নেই।’
ঢাকায় নিজের অফিসে বসে গেল সপ্তাহে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার (১১ জুন) ইউনূসের এ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে রয়টার্স।
ইউনূসকে ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দেয়ার কৃতিত্ব দেয়া হয়। ২০০৭ সালে নিজের রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা প্রকাশের পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের তোপের মুখে পড়েন তিনি। গেল জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হন। কিন্তু, দেশের প্রধান বিরোধীদল নির্বাচন বয়কট করে। দলটির শীর্ষ নেতারা নির্বাচনের পূর্বে থেকেই কারাবন্দি বা নির্বাসনে আছেন।
ক্ষমতাসীন দল ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িত অভিযোগ করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রকৃত রাজনৈতিক বিরোধীদের ঘাটতি রয়েছে। এখানে কেবল একটি দলই সক্রিয়। তারাই সবকিছুই দখল করেছে। তারা সবকিছু করছে, তাদের পথেই নির্বাচন করছে।’
ইউনূস বলেন, ‘তারা নিজেদের লোকদের বিভিন্ন রূপে নির্বাচিত করছে। উপযুক্ত প্রার্থী, ডামি প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। আর সবাই একই দলের।’
তবে ইউনূসের এ মন্তব্যের সাথে একমত নন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘শুধু আমি নই, দেশের জনগণও তার মতের সাথে দ্বিমত পোষণ করবে।’ ইউনূসের এমন মন্তব্য দেশের জনগণের জন্য ‘অপমানজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী। তার দাবি ‘দেশে গণতন্ত্র পুরোপুরি সচল রয়েছে।’
যদিও ইউনূস মনে করেন, ‘বাংলাদেশে প্রতিযোগিতামূলক রাজনৈতিক আবহ ফের ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে। কারণ, এটি এমন এক জায়গায় এসেছে, যেখানে এটা পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে গেছে।’