নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নিউইয়র্ক স্টেট কমান্ড ইউএসএ ইনকের উদ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টারের গোল্ডেন প্যালেস পার্টি হলের ব্রঙ্কসে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠনটি।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে গ্রেটার কুমিল্লা অ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ এনামুল হক এমডি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজুর আহমেদ ও নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটর নাথালিয়া ফার্নান্দেজ।
অনুষ্ঠানে কোরআন থেকে তেওয়ালাদ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল মতিন। গীতা পড়েন কবি সুধাংশু কুমার মন্ডল।
আহ্বায়ক বীর মুক্তিযাদ্ধা আবু জাফরের সভাপতিত্বে এবং কাজী রবিউজজামান ও রেজা আব্দুলাহের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ সানাউল্লাহ ও সঙ্গীত শিল্পী রাশেদ হিরার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টসের সভাপতি ফরিদা ইয়াছমিন, স্টার্লিং ফার্মেসীর মোহাম্মদ আলী, নিপা ড্রামের রওশনারা আরা, রাজনীতিবিদ ডায়েন সারে, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর তফাদার, প্রফেসর সৈয়দ জহির উদ্দিন আজাদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নিউইয়র্ক স্টেট কমান্ডের কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুস সালাম।
স্বাগত বক্তব্য দেন সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান। ‘তিনি বাংলাদেশ ও ১৬ ডিসেম্বরের গুরুত্ব তুলে ধরেন।’
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে উত্তরীয়, মুক্তিযোদ্ধা সংসসের লোগো ব্যাচ ও কোট পিন বিতরণ করা হয়।
বক্তব্য দেন বঙ্গমাতা পরিষদ ইউএসএর সাধারণ সম্পদাক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ সোহাগ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম মুন্সী।
রাজনৈতিক মতাদর্শ উর্দ্ধে থেকে বিজয় দিবস পালনে একমত হওয়ায় আহ্বান জানান প্রধান সমন্বয়কারী বিজয় কৃষ্ণ সাহা, আমেরিকান বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সভাপতি আব্দুস শহিদ সভাপতি।
পরবর্তী প্রজন্ম প্রতি বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরে ভবিষ্যৎ আশাবাদ ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন রাজনীতিবিদ আব্দুল রহিম বাদশা, ফিরোজ শরীফ, সম্মিলিত বরিশাল বিভাগবাসী ইউএসএর সভাপতি এমএ সালাম আকন্দ, কুমিল্লা সোসাইটির সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ দাউদ, সাবেক সভাপতি খবির উদ্দিন ভূঁইয়া, সিনিয়র সিটিজেন ফোরাম অব বাংলাদেশী কমিউনিটির সিনিয়র সভাপতি হাসান আলী, জালালাবাদ এ্যাশোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন লুকু, সহা-সভাপতি শামিম আহমেদ, জাকির চৌধুরী সিপিএ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম মিয়া, সরকার আব্দুল মজিদ, সৈয়দ আব্দুল মতিন, এমএ নাসির, মুন্সী বশির উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, মোস্তফা আহমেদ ভুইঁয়া, মনিরুজ্জামান ও আব্দুর রউফ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তোফায়েল আহম্মেদ চৌধুরী, লিয়াকত আলী কাদেরীয়া বাহিনী, ইয়াকুব আলী মিঠু, সাখাওয়াত হোসেন, মাসুদুর রহমান, সাইদুর রহমান লিংকন, এ খলিলুর রহমান, কবি সুধাংশু কুমার মন্ডল ও আবু তাহের চৌধুরী, ননী গোপাল মল্লিক, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার খোকন, সাইফুল ইসলাম, মো. আহাদ তালুকদার বাবুল, আব্দুল কাদের, মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, শফিকুর রহমান, ফারুক হোসেন, তোফাজ্জল আলী, মনসুর রহমান, ফারজানা ইয়াছমিন, মইজুর রহমান লস্কর জুয়েল, রিপন সরকার, এইচএম মিজানুর রহমান, সৈয়দ এইচ সরোয়ার হক, এমডি তোফাজ্জল আলী, বিধান চৌধুরী, পান্না লাল সাহা, শচিন্দ্র সরকার, তপন দও, সাঈদ উদ্দিন, এমডি মালেক মোল্লা, জামাল উদ্দিন আহম্মেদ কাউছার, আব্দুল করিম, মোস্তফা কামাল হোসেন, আবু চৌধুরী কয়সার, কাজী হাফিজুল হক, মাছুদুর রহমান, সাখাওয়াৎ হোসেন, ইব্রাহিম ইকবাল জুয়েল, তাছলিমা বেগম, ইয়ামিন খন্দকার, আশরাফুল চৌধুরী, আব্দুল মতিন, মো. কামাল হোসেন মন্ডল, মকবুল মিয়া, সেলিম রেজা, এমডি গোলাম সলমান, মো. নাছির উদ্দিন, আনোয়ারুল আলম, এমডি আকরাম হোসেন, বদরুল হক, শহিদুল্লাহ চৌধুরী, আফজাল হোসেন।
অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ এনামুল হক এমডি বলেন, ‘প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরুন, যার যেটুকু অবদান তা স্বীকার করতে হবে, অনেক কষ্ট করে, অনেক রক্ত, সন্মান, শ্রম, মেধার বিনিময়ে এ অর্জন। বাংলাদেশী জাতি হিসেবে যে গৌরব, তা আত্মমর্যাদার সাথে সে ইতিহাসকে তুলে ধরতে হবে।’
অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক গান করেন রাশেদ হীরা, সৈয়দ কামরুজ্জামান ফয়েজ।
মিডিয়া সহযোগীতায় ছিলেন মিলিনিয়াম টিভি, মো. সাখাওয়াত হোসেন সেলিম নিউজ২৪ ইউএসএ এবং ইউএসএস অন লাইন ডট কম, রোকন আহমেদ, হুমায়ন কবির।