ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘দুই বন্ধু রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কারণে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কিছু ভুল বুঝাবুঝি ছিল। মাঝে মাঝে বন্ধুদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দূরত্ব কমে গেছে।’
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) রাতে তার গুলশানের বাস ভবনে বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সালমান বলেন, ‘বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন ও বাংলাদেশে শ্রম অধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তারা নির্বাচনী ব্যবস্থা, অন্তর্বর্তী সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা করেনি। নতুন কোন শর্ত দেয়নি। তারা নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করার কথা বলেছে। আমরা অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথাও বলেছি।’
তিনি উল্লেখ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল বুধবার (১২ জুলাই) দুই দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও ঘটনার সময় পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেছে।’
এ দিকে, বৈঠকে সালমান জানান যে, পশ্চিমা দেশ থেকে আমদানি করা তুলা ব্যবহার করে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘অনেকেই উজরা জেয়ার সফর নিয়ে সরকারের ওপর চাপ বাড়ার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন।’
তিনি বলেন, ‘এটি তাদের নিয়মিত সফরের অংশ, বিশেষ কোন সফর নয়। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য কোন বিশেষ এজেন্ডা নিয়ে এখানে আসেনি। তারা সর্বজনীন মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেছে। কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘অনেকে অস্বাভাবিক কিছু ঘটার অপেক্ষায় আছে। কিন্তু, আমি আবারো বলছি, সংবিধান ও নির্বাচন কমিশনের নিয়ম ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলেই নির্বাচন হবে।’