/ 
প্রিন্ট করুন
ঢাকা: বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতা সম্প্রসারণের মাধ্যমে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর সম্ভাবনার ওপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকায় কটন ইউএসএ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য বাড়ানোর উপায়গুলোর মধ্যে মধ্যে কটন হচ্ছে একটি প্রতিশ্রুতিশীল খাত, যেখানে উভয় পক্ষের জন্যই বিশাল সুযোগ রয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, কটন কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনালের (সিসিআই) বাংলাদেশের প্রতিনিধি আলী আরসালান, সিসিআইয়ের আঞ্চলিক পরিচালক উইলিয়াম বেটেনডর্ফ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, কটন ইউএসএ সলিউশনের লেই পেল, এলডিসি ও প্রধান, জোয়ের্গ বাউরসাচস।
ফারুক হাসান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে বৃহত্তর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন।’
বাংলাদেশ কর্তৃক আমদানিকৃত যুক্তরাষ্ট্রের কটনের উপর সম্প্রতি বাধ্যতামূলক ডাবল ফিউমিগেশন বিধি অপসারণের ইতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা আমদানি প্রক্রিয়াকে সহজ করে, সময় সাশ্রয় করে, ঝামেলা ও খরচ কমায়।’
ফারুক হাসান বলেন, ‘যদি মার্কিন সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলা দিয়ে তৈরি করা পোশাকের জন্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়, তাহলে তা বাণিজ্য সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত করতে পারে। এটা বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের রপ্তানির জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত তুলা ব্যবহার করতে উৎসাহিত করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই পদক্ষেপটির কারণে শুধুমাত্র বাংলাদেশী পোশাক রপ্তানিকারকরাই উপকৃত হবেন তা নয়, বরং এতে করে যুক্তরাষ্ট্রের তুলা চাষিরা, সরবরাহকারী ও ভোক্তারা লাভবান হবেন, সকলের জন্যই উইন উইন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।’
পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম তুলা আমদানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান বিবেচনা করে এ ধরনের কৌশলগত সহযোগিতার গুরুত্ব রয়েছে বলে মত দেন ফারুক হাসান।
ফারুক হাসান ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সম্ভাবনার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘এটা পারস্পরিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।’
