/ 
প্রিন্ট করুন
ঢাকা: স্বদেশ আবৃত্তি সংগঠনের আয়োজনে ঢাকা সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় সেলিম ভূঁইয়ার একক আবৃতি সন্ধ্যা এসো হাত ধরি কবিতার সম্পন্ন হয়েছে। এতে উদ্বোধক ছিলেন স্বাধীনতা প্রদকপ্রাপ্ত আবৃত্তি শিল্পী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রীয় শব্দ সৈনিক ও বাচিক শিল্পের প্রশিক্ষক আশরাফুল আলম। প্রধান অতিথি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, স্বদেশ আবৃত্তি সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম পারভেজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কবি মালেক মুস্তাকিন। সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী ও উপস্থাপক শামীম আহমেদ।
অনুষ্ঠানে আহসানুল আলম পারভেজ বলেন, ‘কবি তার কথা, তার ভাবনা, ভালবাসার অনুভূতি প্রকাশ করে এ সমাজের মানুষদের জাগানোর চেষ্টা করে থাকে।’
কবিতার মাধ্যমে শুধু বন্দনা না করে মাটি ও মানুষের কবিতা লেখার আহবান জানান তিনি।
ত্রিলোক বাচিকশিল্প চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি মাসুম আজিজুল বাসারের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে সঙ্গীতে সঞ্জয় বণিক, কি-বোর্ড মাহবুবুল আলম সোহেল, তবলায় অভিজিৎ সাহা সাগর, বাঁশিতে উত্তম কুমার চক্রবর্তী, আবহ সংগীতে সবরজ সাহা ও দ্বৈত কবিতায় কান্নুতা আরেফিন সহযোগিতা করেন। অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মাসুদ রানা ও মেহেদী হাসান আকাশ।
সেলিম ভূঁইয়া অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০টি ছড়া-কবিতা আবৃত্তি করেন। সেগুলো হল মাযহারুল ইসলামের আমি মুজিবের কাছে, মালেক মুস্তাকিনের একুশ ফিরে আসে, মুরালি মোহন সেনের শাসন, আব্দুল কাদের আরাফাতের ফ্রেন্ডস রিকোয়েস্ট, মাহবুবুল উল আলম চৌধরীর কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি, সৈয়দ শামসুল হকের নুরুলদীনের সারা জীবন , শামসুর রাহমানের তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা, প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের আমি বাংলায় গান গাই, নির্মলেন্দু গুণের স্বাধীনতা এ শব্দটি কিভাবে আমাদের হল ও যাত্রাভঙ্গ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ ও প্রশ্ন, কাজী নজরুল ইসলামের মানুষ, খুকি ও কাঠ বিড়ালী, জীবনানন্দ দাশের অন্ধকার, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবির মৃত্যু, জসিম উদ্দিনের প্রতিদান, পুর্ণেন্দু পত্রীর সোনার ম্যাডেল, আসাদ চৌধুরীর তখন সত্যি মানুষ ছিলাম, হেলাল হাফিজের ফেরিওয়ালা, মুহাম্মদ নুরুল হুদা টুঙ্গী পাড়ার খোকা বাবু, শুভ দাশগুপ্তের জন্মদিন, আনিসুল হকের মানুষ জাগবে ফের, সুকান্ত ভট্টাচার্যের একটি মোরগের কাহিনী, লুৎফর রহমান রিটনের বন্ধু মানে, মুহাম্মদ সামাদের মুজিব, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহের কোন এক মাকে, সরল দের মশা, সুকুমার বড়ুয়ার এমন যদি হত ও ঠিক আছে, সুকুমার রায়ের জীবনের হিসাব, রূপক চট্টরাজের সহজ উপায়, রজনী কান্ত সেনের বাবুই পাখিরে ডাকি, আলী হাবিবের টম এন্ড জেরী, চঞ্চল চৌধুরীর এক ডেগ পানি (নোয়াখালীর আঞ্চলিক কবিতা), অনিন্দ্য বড়ুয়ার গোডা চোলা খাঁইয়া (চট্টগ্রামের আঞ্চলিক কবিতা), ওমর কায়সারের মজা গরি ডুবাই খা (চট্টগ্রামের আঞ্চলিক কবিতা), অজ্ঞাত যৌতুক প্রথা (চট্টগ্রামের আঞ্চলিক কবিতা), মদন মোহন তর্কালঙ্কারের আমার পন, আতোয়ার রহমানের ঠিকানা, পাশা মোস্তফা কামালের আদর্শ ছেলে, রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুলাহর বাতাসে লাশের গন্ধ, আলাউদ্দিন ফরহাদের রং নাম্বারে কিছুক্ষণ।
