/ 
প্রিন্ট করুন
ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ পাঁচ বিশ্বনেতা বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে বাংলাদেশের প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঐতিহাসিক দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে সোমবার (২৪ এপ্রিল) অফিসে শপথ নেয়ার পরে মো. সাহাবুদ্দিন অফিসে উপস্থিত হওয়ার পরেও বিশ্ব নেতাদের অভিবাদন অব্যাহত রয়েছে।
জোন বাইডেন, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিসটো, কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ও সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালাইন বেরসেট পৃথক বার্তায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানসহ পাঁচ বিশ্বনেতার শুভেচ্ছা সম্বলিত পৃথক বার্তা বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকায় পৌঁছেছে।
বাংলাদেশের জনগণের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরো জোরদার করার ওপর জোর দেন।
জো বাইডেন সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘ স্থায়ী অংশীদারিত্ব আমাদের সকলের জন্য আরো শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গঠনে সহায়তা করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘একসাথে, আমরা আমাদের দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন সম্প্রসারিত করেছি। একসাথে, আমরা দুর্নীতি মোকাবেলা ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের মত বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা চালিয়ে যাচ্ছি। আর এভাবে আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত বিশ্ব তৈরি করে যাচ্ছি।’
বাইডেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরো গভীর করতে এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে, মানবাধিকারের অগ্রগতি ও গণতান্ত্রিক নীতি রক্ষাসহ আমাদের অভীন্ন মূল্যবোধের পক্ষে দাঁড়াতে একসাথে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে।’
সব বাংলাদেশী ও আমেরিকানের জন্য একটি অধিকতর মুক্ত, সমৃদ্ধ ও নিরাপদ ভবিষ্যত বিনির্মাণ অব্যহত রাখার লক্ষ্যে বাইডেন বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহী।
সাউলি নীনিস্তো তার অভিনন্দন বার্তায় বলেন, ‘আমি দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক অঙ্গণে আমাদের দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ দিনের সহযোগিতা ও সুসম্পর্ক অব্যহত রাখতে আগ্রহী।’
কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অফিসের দায়িত্ব গ্রহণ করায় বাংলাদেশী রাষ্ট্রপতিকে তার আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি আশা করেন, তার (সাহাবুদ্দিন) দূরদর্শী নেতৃত্ব ও সুসমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা বাংলাদেশকে এক নতুন উচ্চতায় ও আরো সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবে এবং দুই দেশের জনগণের স্বার্থে ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বের পাশাপাশি যে অংশীদারিত্বও রয়েছে- তা আরো সুদৃঢ় হবে।
আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো মো. সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানিয়ে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলোতে সফলভাবে বেলারুশ-বাংলাদেশ সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বেলারুশ শিল্প সহযোগিতা, যান্ত্রিক প্রকৌশল, বৈদ্যুতিক পরিবহন, কৃষি, ফার্মেসি, বিজ্ঞান ও শিক্ষার ক্ষেত্রে পারস্পারিক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী।’
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় অভিনন্দন বার্তায় অ্যালাইন বারসেট বলেন, ‘সুইজারল্যান্ড একটি উন্নয়ন ভবিষ্যত গড়তে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় অবিচল অংশীদার ছিল ও তা অব্যহত থাকবে।’
তিনি আশা করেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো গভীর হবে ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে আমাদের সহায়তা করতে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।’
