ভিলনিয়াস, লিথুয়ানিয়া: যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর দুই দিনের বার্ষিক সম্মেলনের মঙ্গলবার (১১ জুলাই) প্রথম দিন। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জোটের নেতারা সম্মেলনের জন্য লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে জড়ো হয়েছেন। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।
এবারের সম্মেলনে ন্যাটোর ৩১টি দেশ রাশিয়াকে দেখাতে চায় যে, তারা দীর্ঘ মেয়াদে ইউক্রেনকে সামরিকভাবে সমর্থন করতে বদ্ধ পরিকর। এ দিকে, এ সম্মেলনের ওপর সতর্ক নজর রাখছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এরই মধ্যে সোমবার (১০ জুলাই) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ন্যাটোতে সুইডেনের যোগদানে সমর্থন দিতে রাজি হয়েছেন। এ নিয়ে ন্যাটোর প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ এক ঘোষণায় জানান, এরদোয়ান তুরস্কের পার্লামেন্টে সুইডেনের সদস্যপদের আবেদন পাঠাতে ও দ্রুত সময়ে অনুমোদন দিতে সম্মত হয়েছেন।
ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে বৈঠকে নেতারা আলোচনা করবেন। ইউক্রেনকে ন্যাটোতে নেয়ার বিষয়ে মতবিরোধ আছে। ধারণা করা হচ্ছে, কিছু মিত্র দেশ ইউক্রেনকে ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে নতুন নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেবে। সেইসাথে ইউক্রেনকে আরো অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে।
এ দিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চান, ইউক্রেনকে যত দ্রুত সম্ভব ন্যাটোর সদস্য করা। তবে, ন্যাটোর বেশ কিছু সদস্য চান না ইউক্রেনকে ন্যাটোতে নেওয়া হোক। এতে করে যুদ্ধ আরো বাড়তে পারে বলে তাদের শঙ্কা।
এ নিয়ে জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।’
তবে তিনি বলেছেন, ‘আমি পুরোপুরি নিশ্চিত ইউক্রেনের বিষয়ে আমাদের ঐক্য ও একটি শক্তিশালী বার্তা থাকবে।