তরুস্ক: তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে এবার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অত্যাধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চেয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। সোমবার (২৯ মে) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে ফোনালাপে এ যুদ্ধবিমান চান তিনি। খবর আল জাজিরার।
নির্বাচনে জয় পাওয়ায় অভিনন্দন জানাতে বাইডেন সোমবার (২৯ মে) এরদোয়ানকে ফোন করলে দুই নেতার মধ্যে এসব ব্যাপারে আলাপ হয়।
হোয়াইট হাউস থেকে তার ডেলোয়ারের বাস ভবনে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, ‘আমি এরদোয়ানের সাথে কথা বলেছি। তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। তিনি (এরদোয়ান) এখনো এফ–১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে কিছু কাজ করতে চান। আমি তাকে বলেছি, আমরা সুইডেনের সাথে একটি চুক্তি চাই। আসুন, একসাথে এটা করা যাক। এটা নিয়ে আমরা একে অপরের সাথে ফের যোগাযোগ করব।’
এ দিকে, বাইডেনের সাথে ফোনালাপের বিষয়ে এরদোয়ানের দফতর বিবৃতি বলেছে, ‘দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে সহযোগিতার বিষয়গুলো আরো গভীর করতে সম্মত হয়েছেন দুই নেতা। দ্বিপক্ষীয় এ সম্পর্ক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে তুরস্কের আগ্রহ বেশ পুরোনো। এ জন্য দেশটি দুই হাজার কোটি ডলার খরচ করতেও রাজি। যদিও শুরু থেকেই এতে আপত্তি তুলেছে মার্কিন কংগ্রেস। কংগ্রেসের মতে, ন্যাটোর সম্প্রসারণের বিষয়ে এখনো সবুজসংকেত দেয়নি তুরস্ক।
এছাড়া, এরদোয়ানের সিরিয়া নীতি ও তুরস্কের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন রয়ে গেছে। তাই, আপাতত তুরস্কের কাছে এফ-১৬ বিক্রি করতে চাইছে না মার্কিন কংগ্রেস।
আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দীর্ঘ দিন ধরেই নিরপেক্ষতার নীতি মেনে আসছে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। তবে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা অভিযান শুরুর পর দেশ দুটির এ নীতিতে পরিবর্তন আসে। ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ধারণা, তাদের দেশেও যে কোন মুহূর্তে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। তাই, আগাম নিরাপত্তার অংশ হিসেবে ন্যাটোতে যোগ দিতে চায় তারা। যাতে, জোটের কোন সদস্য রাষ্ট্রে হামলা একযোগে পাল্টা জবাব নেয় ন্যাটোর বাকি সদস্যরা।
তবে, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ওই আগ্রহে আপত্তি তোলে তুরস্ক। জোটে নতুন সদস্য যুক্ত করতে হলে বর্তমান সব সদস্যের সম্মতির প্রয়োজন। এতেই আটকে যায় দেশ দুটির ন্যাটোয় যোগদান।
যদিও, পরবর্তী ফিনল্যান্ডের বিষয়ে পরে আপত্তি তুলে নিলে ন্যাটোভুক্ত হয় ফিনল্যান্ড। তবে, সুইডেনের বিষয়ে এখনো অনড় অবস্থানে তুরস্ক। ঝুলে রয়েছে সুইডেনের আবেদন। আর তাই, সুইডেনের বিষয়ে এরদোয়ানকে রাজি করাতে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।