সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বান্দরবানে ব্যাংকে ডাকাতির মূল উদ্দেশ্য অর্থ সংগ্রহ করা

শনিবার, এপ্রিল ৬, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

বান্দরবান: বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও সন্ত্রাসী হামলার পেছনে অর্থ সংগ্রহ করাই মূল উদ্দেশ্য হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেছেন, ‘এ ঘটনা রুখতে কারো গাফিলতি বা ব্যর্থতা থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে। রুমা এমন একটি জায়গা, যেখানে কোন দিন এ ধরনের একটা অশান্ত পরিবেশ হবে আমরা চিন্তা করিনি। আমরা সব সময় দেখেছি, শান্তিপ্রিয় মানুষগুলো এ এলাকায় থাকেন। আচমকা এ ঘটনা কেন ঘটল, এটাই আজকে আমাদের কাছে প্রশ্ন।’

শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব বলেন মন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ডাকাতির মূল উদ্দেশ্য ছিল বোধ হয় অর্থ সংগ্রহ করা, এখন পর্যন্ত আমরা যা মনে করছি। আমরা সব কিছুই দেখব। অস্ত্র সহকারে ও পোশাক সহকারে এখানে ঢুকবে; আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে এটাও কাম্য নয়। এখন যা করার নিরাপত্তা বাহিনী সেটা করবে।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যাব। আমরা কোনক্রমেই আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে আর দেব না। এ শান্তিপ্রিয় এলাকায়, যেখানে শান্তির সুবাতাস সব সময় বইতো, এখানে অশান্তি হোক- এটা আমরা চাই না। আমরা অবশ্যই এর কারণ, কারা করেছে, কাদের সহযোগিতা ছিল সবগুলো বের করব ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’

অভিযান শুরু হবে কি না জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘দেশে নিরাপত্তা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে, তারা তাদের মত করে করবেন। কোন কিছুকেই আমরা আনচ্যালেঞ্জড যেতে দেব না। উৎস কোথায়, কীভাবে হল সবগুলো আমরা বের করব।’

এর পূর্বে, শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে হেলিকপ্টারে বান্দরবানের রুমায় পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরিদর্শন করেন সেখানকার সোনালী ব্যাংক শাখা। এছাড়া, পাশের একটি মসজিদ কমপ্লেক্সসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে এক দল বন্দুকধারী রুমায় সোনালী ব্যাংক শাখায় তাণ্ডব চালায়। অপহরণ করে ব্যাংকের ম্যানেজারকে। পর দিন থানচি বাজার ঘেরাও করে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকেও হামলা চালিয়ে নগদ অর্থ লুট করে। স্থানীয়রা জানায়, হামলাকারীরা সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী কেএনএফের পোশাক পরিহিত ছিল।