রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

শিরোনাম

বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি/দিনব্যাপী সংঘর্ষে ২০ পুলিশ আহত, আটক ৯০

শনিবার, জুলাই ২৯, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ঢাকার প্রবেশ পথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির নামে অরাজকতা সৃষ্টি করা হবে বলে আগে থেকেই পুলিশের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি প্রধান) অতিরিক্ত কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ। তিনি জানান, শনিবার (২৯ জুলাই) দিনব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশের ২০ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটক করা হয়েছে ৯০ জনকে।’

শনিবার (২৯ জুলাই) ঢাকার ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিবির প্রধান। তিনি বলেন, ‘ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচির নামে যারা পুলিশের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’

শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখগুলোতে পুলিশের সতর্ক অবস্থানে ছিল। ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির নামে বিএনপি নাশকতার চেষ্টা করবে- এমন তথ্য ছিল। এ কর্মসূচিতে দফায় দফায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

এ দিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে নিয়ে আসা হয়েছিল গোয়েন্দা কার্যালয়ে। যদিও পুলিশের দাবি, তিনি বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন। তাকে সংঘর্ষ থেকে বাঁচাতেই ডিবির অফিসে নিয়ে আসা হয়েছিল। ঘণ্টাখানেক পর ডিবির গাড়িতে করেই তাকে বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়।

ডিবির প্রধান বলেন, ‘যারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে শনাক্ত করা হচ্ছে, আর তাণ্ডবকারীদের খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম কাজ করছে।

মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান ডিবির প্রধান।

এছাড়াও ঢাকার উত্তরায় র‌্যাব-১ অফিসের সামনে ঠিক শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল ১১টা ৫২ মিনিটে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় টেলিভিশনের ক্যামেরায় সন্দেহজনক কয়েকজনের গতিবিধি ধরা পড়ে। ব্যাগ হাতে নিয়ে গলির ভেতর ঢুকতে দেখা যায় কয়েকজনকে।

বলে রাখা ভাল, শুক্রবার (২৮ জুলাই) নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ থেকে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বিএনপি। এরপর শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগও। তবে, রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়নি ডিএমপি। রাতে ডিএমপির গণমাধ্যম বিভাগ থেকে পাঠানো এসএমএসে ডিএমপি কমিশনারকে উদ্ধৃত করে এ কথা জানানো হয়। এরপর আওয়ামী লীগ কর্মসূচি থেকে সরে এসে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক অবস্থানের ঘোষণা দেয়। কিন্তু, শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকেই সড়কে অবস্থানের চেষ্টা করে বিএনপি। লাঠিসোঁটা হাতে সড়কে নামেন দলটির নেতাকর্মীরা।