ঢাকা: তথ্য মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি’র আন্দোলনের নমুনা হল, আন্দোলন করতে গিয়ে নিজেরা নিজেরা মারামারি করা, পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা, সারা দেশে গন্ডগোল করার অপচেষ্টা চালানো।’
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের বিএনপির আন্দোলন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘নামসর্বস্ব যেসব রাজনৈতিক দলের সাথে তারা সংলাপ করেছে, সেগুলোর বাস্তবিক অর্থে কোন অস্তিত্ব নেই, আছে শুধু সাইনবোর্ড। তারা এসব দল নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে বলে ঘোষণাও দিয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও এ রকম একটি ঐক্য তারা করেছিল, যার ফলাফল হচ্ছে নির্বাচনে বিএনপির পাঁচটি আসন। এসব দলকে নিয়ে আন্দোলন করলে অতীতে যেমন জনগণ সাড়া দেয় নি, এবারো দেবে না।’
নির্বাচনের মাঠ থেকে বিএনপিকে সরানোর চেষ্টা হচ্ছে কি না সে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনের মাঠ থেকে তো কাউকে কেউ সরাতে পারে না, নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের মাঠ থেকে ২০১৪ সালে বিএনপি পালিয়ে গিয়েছিল ও ২০১৮ সালে নির্বাচনের মাঠ থেকে পালিয়ে গিয়ে পরে নির্বাচনের ট্রেনের পাদানিতে চড়ে নির্বাচনে গিয়েছিল। তো এবার তারা নির্বাচনের ট্রেনের পাদানিতে চড়বেন না কি ট্রেনে চড়বেন সেই সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে। আমরা চাই, বিএনপি নির্বাচনে আসুক, তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুক।’
বিএনপির তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে ফের সম্পূর্ণ নাকচ করে দিয়ে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন কমিশন। আর সংবিধান অনুযায়ী অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে বিশেষ করে সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশ ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যে সরকার দেশ পরিচালনা করছিল, সেই সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে, আমাদের দেশেও তাই হবে। অন্য কোন বায়না ধরে কোন লাভ নেই। মির্জা ফখরুল সাহেবকে তাদের কর্মীরা যেহেতু সাড়া দিচ্ছে না, সে জন্য তাকে গরম বক্তৃতা দিতে দেখা যাচ্ছে।’
এর আগে মন্ত্রী আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘টেকসই উন্নয়নে পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে’র সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন।
সম্মেলনের আয়োজক উপকমিটির সভাপতি খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে অধ্যাপক নাসরিন আহমদ, অধ্যাপক আইনুন নিশাত অতিথি, অধ্যাপক মো. আফতাব আলী শেখ স্বাগত ও আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন সমাপনী বক্তা হিসেবে সভায় বক্তব্য রাখেন।