বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হওয়ায় গিয়াস আহমেদকে সংবর্ধনা

শনিবার, মে ১৩, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনীত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গিয়াস আহমেদকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। নিউইয়র্কে উডসাইডের গুলশান ট্যারেস পার্টি হলে সোমবার (৮ মে) রাতে ঢাকা জেলাবাসী এ সংবর্ধনার আয়োজন করে। সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল বাসেতের সভাপতিত্বে সভায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও যুবদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে দলীয় নেতা-কর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ভার্চুয়ালি বিশেষ অতিথি বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সহ- আন্তর্জাতিক সম্পাদক বেবী নাজনীন, জাসাসের আহবায়ক হেলাল খান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লু ও মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম ভূইয়া। মঞ্চে ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি ও ট্রাষ্টি বোর্ড চেয়ারম্যান এম আজীজ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মনজুর আহমেদ চৌধুরী, জামাল আহমেদ জনি, এমদাদুল হক কামাল, বাবুল চৌধুরী।

বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন, যুবদলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ, সাবেক সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম এ বাতেন, বিএনপি নেতা অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান, হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দী। উপস্থিত ছিলেন নূসরাত আহমেদ, কাজী আজম, ফিরোজ আহমেদ, শাহাদৎ হোসেন রাজু, সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, সরোয়ার খান বাবু, ভিপি জসীম, কাজী আমিনুর রহমান, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, আলমগীর কবীর, পারভেজ সাজ্জাদ, হুমায়ূন কবীর, আনিসুর রহমান, জাহাঙ্গির হোসাইন

বক্তারা গিয়াস আহমেদকে তার নতুন দায়িত্বের জন্য অভিবাদন জানিয়ে বলেন, ‘গিয়াস আহমেদ ঢাকা দোহার থানা ছাত্রদলের সভাপতি, রমনা থানার ছাত্র দলের সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। খালেদা জিয়াকে দোহারে নিয়ে বিশাল জনসভা করাবার কারণে তৎকালিন সরকারী দলের লোকেরা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। তখন তিনি নিজ বাডীতে ঘুমাতে পারেন নি। উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আসলেও বিএনপিকে ভুলতে পারেন নি। বাংলাদেশ থেকেই তিনি ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েও তিনি এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করবেন এবং বিএনপি ও ছাত্রদল গঠন করবেন। সত্যি তার স্বপ্ন বাসতবায়ন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি প্রতিষ্ঠার আগেই তার নেতৃত্বে ১৯৮৮ এর মার্চে যুক্তরাষ্ট্র ছাত্র দল গঠন করা হয় এবং তিনি প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লিপিবদ্ধ করেন।’

বক্তারা আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি গঠনেও গিয়াস আহমেদ অন্যতম ভূমিকা পালন করেন। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রথম আহবায়ক কমিটির তিনি একজন অন্যতম সদস্য ছিলেন। তার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদল একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়। এরশাদ বিরোধী আন্দলন তখন তুঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও ছাত্রদল ঐক্যবদ্ধভাবে হোয়াইট হাউজ, ক্যাপিটাল হিল ও জাতিসংঘে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, নিউইয়ক স্টেট বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। ১/১১ এর সময় খালেদা জিয়া তার নিজস্ব ক্ষমতাবলে গিয়াস আহমেদকে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদাক হিসেবে নিয়োগ দেন। সর্বশেষে দলের তারেক রহমান গিয়াস আহমেদকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বানান।’