ঢাকা: জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করা বিএনপির সাংসদরা রাষ্ট্র থেকে কী কী সুবিধা নিয়েছেন, তার তথ্য চেয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ নোটিশ পাঠান।
সংসদ সচিবালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বিএনপির সাংসদরা রাষ্ট্র থেকে যে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন, তা আগামী সাত দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকার গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ থেকে বিএনপির সাত সাংসদের পদত্যাগের ঘোষণা দেয়া হয়। তারা হলেন- আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ- দুই), হারুন অর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ- তিন), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও- তিন), মোশাররফ হোসেন (বগুড়া- চার), জিএম সিরাজ (বগুড়া- সাত), আব্দুস সাত্তার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া- দুই) ও রুমিন ফারহানা (সংরক্ষিত নারী আসন)। এরপর রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সশরীরে উপস্থিত হয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন পাঁচ সাংসদরা। এ সময় অনুপস্থিত দুই জনের পক্ষেও পদত্যাগপত্র জমা দেয়া হয়।
স্পিকার তখন পাঁচ জনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন এবং ওই পাঁচটি আসন শূন্য হয়েছে বলে জানান। বাকি দুইজনের একজন উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া অসুস্থ থাকায় তার আবেদনের বিষয়ে তার সাথে কথা বলে যাচাই করার পর গ্রহণ করার কথা জানিয়েছিলেন স্পিকার। আর হারুন অর রশীদ বিদেশে থাকায় তার পদত্যাগপত্র আপাতত গ্রহণ করা হয় নি। সন্ধ্যার মধ্যে আব্দুস সাত্তারের পদত্যাগের আবেদন যাচাই শেষে গ্রহণ করা হয়। এরপর রাতে সংসদ সচিবালয় থেকে ছয়টি আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।