সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বিএনপির সাথে সংলাপের কথা বলা হয়নি, ফখরুল জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চান

শুক্রবার, জুন ৯, ২০২৩

প্রিন্ট করুন
হাসান মাহমুদ

ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, `আমরা কোন সংলাপের কথা বলি নাই। বিএনপির সাথে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমরা মনে করি না।’

শুক্রবার (৯ জুন) দুপুরে মতিঝিলে সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলাভিত্তিক সংগঠন বোয়ালখালী সমিতি ঢাকার বার্ষিক মেজবান ও কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্য ‘আন্দোলন থেকে দৃষ্টি অন্য দিকে নিতে সরকার সংলাপের কথা বলছে’ এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘যারা নির্বাচন ভন্ডুল করতে চায়, নির্বাচনকে প্রতিহত করতে চায়, তাদের সাথে সংলাপ করে কোন ফায়দা নাই। বাংলাদেশে নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব বরং এসব কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চান।’

হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ‘আমির হোসেন আমু সংলাপ নিয়ে যেটি বলেছিলেন, পরের দিনই তিনি সেটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং প্রথমে তিনি যা বলেছিলেন, সেটি তার নিজের অভিমত ছিল, আমাদের দল আওয়ামী লীগ, সরকার বা ১৪ দল কার অভিমত ছিল না।’

রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম সাত আসনের সাংসদ হাছান মাহমুদ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে বোয়ালখালীবাসীর ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, ‘বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেনের অনেক সহযোদ্ধার বাড়ি ও আস্তানা ছিল বোয়ালখালীতে। শহরের নিকটতম হওয়ায় বোয়ালখালীর মানুষ আগে থেকেই অন্য উপজেলার চেয়ে বেশি শিক্ষিত ও সংস্কৃতিমনা ছিল। এ আধুনিক ও ‘মোবাইল সংস্কৃতি’র যুগেও তাদের বলী খেলা এখনো প্রসিদ্ধ। চট্টগ্রামের মেজবান সংস্কৃতিও গেল এক দশকে পুরো দেশে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।’

সমিতির দাবি-দাওয়ার প্রেক্ষিতে মন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয়ে বলেন, ‘অবশ্যই কালুরঘাটে নতুন কর্ণফুলি সেতু হবে। পদ্মা সেতুর মত সেটিতে রেল ও সড়ক দুই সংযোগই থাকবে এবং এ সেতু নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন নির্বিঘ্ন রাখতে বর্তমান ঐতিহ্যবাহী কালুরঘাট সেতুর সংস্কারেও হাত দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার সড়ক দুই থেকে চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। এর ফলে বোয়ালখালীতে শিল্পায়ন বাড়বে।’

গেল ১৪ বছরে দেশের উন্নয়নচিত্রের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘১৪ বছর পরে বিদেশ থেকে ফিরে আজ বোয়ালখালীর মানুষ নিজের এলাকা চিনতে পারে না। আগে দিনমজুর, রিক্সাচালকদের দিনে সাড়ে তিন কেজি চালের সমান মজুরির জন্য আন্দোলন হত, এখন ৫০ টাকা কেজি চালও দিনে দশ কেজি কেনার মত আয় তাদের। আগে বিদেশিদের পুরনো কাপড় ধুয়ে, আয়রন করে বাজারে বিক্রি হত, এখন আমাদের রপ্তানি করা কাপড় বিদেশিরা পরে। গ্রাম-শহরের পার্থক্য ঘুচে গেছে। গ্রামের ছেলেরাও এখন থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট পরে।’

বোয়ালখালী সমিতি ঢাকার সভাপতি মো. লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান আনসারী, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আবদুস সোবহান সিদ্দিকী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।