/ 
প্রিন্ট করুন
ডেস্ক রিপোর্ট: সারা পৃথিবীর মত বাংলাদেশেও উষ্ণ থেকে উষ্ণতর আবহাওয়ার কারণে সাধারণ মানুষকে এখন অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের বোঝা বহন করতে হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাসাবাড়ির এয়ার কন্ডিশনে (এসি) অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ হওয়ায় অসুবিধায় পড়ছেন মানুষ। আবহাওয়ার ও জলবায়ুর অস্বাভাবিক পরিবর্তনের কারণে আরো কিছু দিন আমাদের এমন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই সাথে দেশ জুড়ে চলমান লোডশেডিংয়ের কারণে সমস্যাটি আরো গুরুতর হয়ে উঠেছে।
এ অবস্থায় চলুন জেনে নিই, এ মৌসুমে বিদ্যুৎ-সাশ্রয় করার মাধ্যমে কীভাবে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যায় ও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে আনা যায়।
নিয়মিত এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করা: ধুলোবালি আটকে এসির ভেতরে পরিষ্কার বাতাস যেতে সাহায্য করে এয়ার ফিল্টার। প্রতিদিনের ব্যবহারের ফলে ফিল্টারে ধুলোবালি জমে যায়, যা এসির ভেতর পরিষ্কার বাতাস যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়। ফলে এমন অবস্থায় এসি সচল রাখতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। নিয়মিত এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করা হলে এসির কর্মক্ষমতা বাড়ে ও বিদ্যুতের ব্যবহার কমে আসে।
বাতাস বের হয়ে যাওয়া বন্ধ করা: অনেক বাসায় দরজা-জানালায় ফাঁকা থাকার কারণে ঘরে এসির ঠাণ্ডা বাতাস আবদ্ধ থাকতে পারে না। ফলে ঘর ঠাণ্ডা করতে এসিকে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করতে হয়। দরজা-জানালার এসব ফাঁকা স্থান বন্ধ করার মাধ্যমে ঠাণ্ডা বাতাসকে দীর্ঘক্ষণ ঘরে ধরে রাখা যায়। এভাবে বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোর মাধ্যমে খরচ কমানো সম্ভব।
ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি ব্যবহার করা: ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি পুরোনো ধাঁচের এসির মত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় না। তার বদলে এটি ফ্যান ও কমপ্রেসরের স্পিডকে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে ঘরকে আরো ভালভাবে ঠাণ্ডা হতে সাহায্য করে। এ ধরণের আধুনিক প্রযুক্তির এসি বেশি কার্যকর, পরিবেশবান্ধব ও বাসাবাড়িতে ব্যবহার করার জন্য তুলনামূলকভাবে বেশি নিরাপদ।
সঠিক ফিচার ও ব্র্যান্ডের এসি বাছাই করা: এ গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় ডিজিটাল ইনভার্টারযুক্ত বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী এসি ব্যবহার করা সবচেয়ে ভাল। দেশের বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মধ্যে স্যামসাং কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস ব্যবহারকারীদের সাধ্যের মধ্যে বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য বিভিন্ন মডেলের এসি নিয়ে এসেছে। ডিজিটাল ইনভার্টার বুস্ট প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রযুক্তির স্যামসাং এসি ব্যবহারকারীদের সেবা ও মানের নিশ্চয়তা দিচ্ছে। এতে আরো যুক্ত করা হয়েছে নিওডাইমিয়াম ম্যাগনেট ও একটি টুইন টিউব মাফলার, যাতে অপ্রয়োজনীয় শব্দ কমে এসে এসির কর্মক্ষমতা বাড়ে ও এসি আরো টেকসই হয়। আরো আকর্ষণের বিষয় হল, এ প্রযুক্তির মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৭৩ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যায়!
স্যামসাংয়ের ডিজিটাল ইনভার্টার বুস্ট প্রযুক্তি ৪৩ শতাংশ দ্রুততার সাথে বাতাসকে ঠাণ্ডা করে। উন্নত ডিজাইনের এ এসিতে ফিচার হিসেবে আরো থাকছে ১৫ শতাংশ বড় ফ্যান, ১৮ শতাংশ বিস্তৃত ইনলেট ও ৩১ শতাংশ প্রশস্ত ব্লেড। এর ফলে ঠাণ্ডা বাতাস ১৫ মিটার পর্যন্ত বেশি জায়গায় দ্রুত ছড়িয়ে যেতে পারে। ক্রেতাদের জীবনকে আরো স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে স্যামসাং দিচ্ছে কমপ্রেসরের ওপর দশ বছরের ওয়ারেন্টি। মাত্র ৬৮ হাজার ৯০০ টাকায় শুরু হওয়া বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী এসি কিনতে আপনার নিকটস্থ স্যামসাং স্টোরটি ঘুরে আসুন আজই!
