/ 
প্রিন্ট করুন
নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসএ’র সাধারণ সভার পাশাপাশি বাংলাদেশের ৫৪তম বিজয় দিবস পালন করেছে।
গেল ২৯ ডিসেম্বর ওজনপার্কের আব্দুল্লাহ পার্টি হলে এ সভায় সদস্যদের দীর্ঘ দিনের দাবী সমিতি ভবন সমিতির নামে রেজিষ্ট্রেশন হওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে সভাপতি বুরহান উদ্দীন কপিল, সাধারণ সম্পাদক আহমদ এ হাকিম ও কোষাধ্যক্ষ সফিক আহমদ থাকাকালীন সমিতির ভবন কেনা হয়। ২০২১ সালে মকবুল রহিম চুনই সভাপতি ও মুহিবুর রহমান রুহুল সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন ঘর ঋণ মুক্ত হয়। সেই থেকে ক্রয়কৃত সমিতির ভবন সমিতির নামে রেজিস্ট্রেশন করানোর জন্য সাধারণ সভাসহ বিভিন্ন আলোচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উঠে আসে। সভায় সম্পাদকীয় রিপোর্টে বিভিন্ন কার্যক্রমের বর্ণনায় সমিতির ঘর নিয়ে সাবেক কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের কথা উল্লেখ করা হয় এবং সমিতির নামে ঘর রেজিষ্ট্রেশনের উপর আলোচনা প্রাধান্য পায়। সভায় তৎকালীন সভাপতি বুরহান উদ্দীন কপিল ছাড়া বাকি দুইজন উপস্থিত ছিলেন না। সভায় বুরহান উদ্দীন কপিল উপস্থিত থেকে সমিতির ভবন সমিতির নামে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে অনেকের আলোচনার প্রেক্ষিতে তিনি ভবন ক্রয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট বাকি দুইজনসহ কমিটির বর্তমান উপদেষ্টাদের নিয়ে বৈঠক করে সংগঠনের ভবন সমিতির নামে রেজিস্ট্রেশন করার প্রক্রিয়ায় ঐক্যমতে পৌঁছান বলে জানালে সভায় উপস্থিত সকলে হাততালি দিয়ে তাকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল বিজয় দিবস পালন, আর দ্বিতীয় পর্বে ছিল সাধারণ সভা। উভয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আব্দুল মান্নান এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম অপু। সমিতির উপদেষ্টা মোজাহিদুল ইসলাম, হারুন মিয়া, ফখর উদ্দীন, বেলাল উদ্দীন ফখরুল ও গহর চৌধুরী কিনু, সাবেক সভাপতি মকবুল রহিম চুনই ও মস্তফা কামাল মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শহীদ ও বিয়ানীবাজার সমিতির প্রয়াত সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে কুরআন তেলওয়াত ও দোয়া পরিচালনা করেন ওজনপার্ক মসজিদের ইমাম আমিনুল। পরে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন এবং বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শেয় হয়।
দ্বিতীয় পর্বের সাধারণ সভায় সম্পাদকীয় রিপোর্ট ও কোষাধ্যক্ষের রিপোর্ট পেশ করেন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম অপু ও কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান দুখু। সম্পাদকীয় রিপোর্টে সংগঠনের নামে সমিতির নিজস্ব ভবন, বার্ষিক বনভোজন, বেক টু স্কুল প্রোগ্রাম, ভিলেজ কাপ ফুটবল, সমিতি ভবন সংস্কার, ইসরাইলের সাথে যুদ্ধে নির্যাতিত ফিলিস্তিনীদের মানবিক সাহায্য, সমিতির বর্তমান ৬১৭ টি কবরের উল্লেখ, বন্যায় বিয়ানীবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মানবিক সাহায্যে, আজীবন সদস্য সংগ্রহ, বিয়ানীবাজার সমিতির ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টসহ বিস্তারিত কর্মকান্ড তুলে ধরা হয়।
কোষাধ্যেক্ষর রিপোর্টে আব্দুল হান্নান দুখু জানান, বর্তমানে সমিতির ফান্ডে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৩ ডলার রয়েছে।
সম্পাদকীয় রিপোর্ট ও কোষাধ্যক্ষের রিপোর্ট পাশ হওয়ার পর অন্য আলোচনায় বিয়ানীবাজার সমিতির নিজস্ব ফিউনারেল হোম করার জন্য আব্দুল হান্নান দুখু প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সমিতি যখনই মনে করবে কারো সাহায্য ছাড়া ফিউনারেল করতে পারবে, তখনই ফিউনারেল করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
তবে বুরহান উদ্দীন কপিল জানান, মসজিদ আল আমানের ফিউনারেল বিয়ানীবাজারের নামে ব্যবহার করার সুযোগ করে দেয়া যাবে।
