শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

শিরোনাম

বিশ্ব শান্তিতে জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে সেন্টার ফর এনআরবির আলোচনা ও আন্ত-ধর্মীয় ইফতার

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউ ইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: সবার জন্য বাসযোগ্য ও নিরাপদ পৃথিবী গঠনের আহ্বানের মধ্য দিয়ে সোমবার (৮ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটিতে সেন্টার ফর এনআরবির আলোচনা ও জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সম্মানে আন্ত-ধর্মীয় ইফতার আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।এনআরবি সেন্টারের ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজ ২০২৪ এর অংশ হিসেবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনআরবির চেয়ারপার্সন এমএস সেকিল চৌধুরী। অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি খিজির আহমদ, নিউ ইয়র্ক কুইন্স কোর্টের প্রেসিডেন্ট সোমা সাইদ, জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত এবং জি১০০ গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতি সীমা কারাতনায়া, রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেই বাস ও নিউ ইয়র্ক সিটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা।

অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামি স্কলার ইন্দোনেশিয়ার শামসী আলী, খ্রিস্টানিটি স্কলার ফ্রান্ক কাউফম্যান, জাতিসংঘের সাবেক সুপারিনডেন্ট মোহামেদ সুলায়মান ইয়ার, নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়রের নিরাপত্তা প্রধান হুমায়ুন কবির, টিবিএন২৪ চ্যানেলের আফম জামান, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের নির্বাহী সদস্য জুলকার হায়দার, বাংলাদেশী-আমেরিকান পেশাজীবী ব্যাংকার ওয়াসেফ চৌধুরী, সফ্‌টওয়ার ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর আহমদ, এটর্নি জিনাত জাহান এবং অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত প্রবাসী সানওয়ার চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী ও অথর্নৈতিক বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা মশিউর রহমানের লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে খিজির আহমদ বলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে আর না, এবার বিশ্ব শান্তি নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে রাজনীতিবিদদের, হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে।’

নাজমুল হুদা বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, করণীয় ঠিক করে দিতে হবে। তবেই না আমরা কুটনীতিকরা দায়িত্ব পালন করতে পারব। জাতিসংঘ তার সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত হয়। সুতরাং, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

শামসী আলী বলেন, একজন মানুষের মৃত্যু মানে মানবতার মৃত্যু। সুতরাং, মৃত্যু রোধ করতে না পারলে মানবতা বিপন্ন হবে।’

ফ্রাঙ্ক কাউফম্যান বলেন, ‘কোন মৃত্যু গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’

এমএস সেকিল চৌধুরী বলেন, ‘দেশে দেশে সংঘাত, সংখ্যালঘুদের নির্মূল প্রয়াস, ধর্মীয় বিরোধ, জাতিগত দাঙ্গা ও ক্ষমতাবানদের অত্যাচার বন্ধে জাতিসংঘের বলিষ্ট ভূমিকা নিতে হবে। রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে দূবর্লদের অত্যাচার নিরসনে জাতিসংঘের মধ্যস্থতা ও পরামর্শ পালনে শক্তিমানদের বাধ্য করতে সবাইকে একযোগে কায্যর্কর পদক্ষেপ নিতে হবে। সবার জন্য পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে ধর্মীয় ও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠি এবং সম্প্রদায়গুলোকে পরস্পরের প্রতি সহনশীল ও ন্যায্য আচরণের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি ও সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের লাগসই ও ন্যায়সঙ্গত পদক্ষেপ নিতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘জাতিসংঘ তার করণীয় দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সবলের অত্যাচারে বিশ্বময় সুশীল রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও আন্ত-রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক হুমকির মুখে পড়বে। বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের কাযর্ক্রম ও কর্মীদের নিরাপদ কাজের পরিবেশ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবাইকে ঐকমত্যে আসতে হবে; যাতে উপদ্রুত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কাজ নির্বিগ্নে পালন করা যায়।’

আলোচনা, ইফতার ও নৈশভোজ অনুষ্ঠানে প্রবাসী আমেরিকান, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, পেশাজীবী, সামাজিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।