মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬

শুক্রবার, মার্চ ১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ঢাকার বেইলি রোডে একটি বাণিজ্যিক ভবনে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আর তা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভর্তি ১২ রোগীর কেউই আশঙ্কামুক্ত নন।’

আগুনের কারণে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস নিঃশ্বাসের সাথে মিশে যাওয়ায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে নিশ্চিত করেন, মোট ৩৩টি লাশ পরিবার ও স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-৩ এর উপ-পরিচালক (মিডিয়া) মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে আটকা পড়া শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের সিনিয়র স্টাফ অফিসার মো. শাহজাহান শিকদার জানান, অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে পাঁচ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যরা হলেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. সালেহ উদ্দিন, সংশ্লিষ্ট জোনের ডিএডি, সিনিয়র স্টেশন অফিসার ও গুদাম পরিদর্শক।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন পরে বলেন, ‘ভবনটিতে মাত্র একটি দোকান ছিল, বাকি আউটলেটগুলোর সবই রেস্তোরাঁ। পুরো ভবন জুড়ে গ্যাস সিলিন্ডার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল, যেগুলো রান্নার জন্য ব্যবহৃত হত। এর যে কোন একটি বা গ্যাসের চুলা বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লাগতে পারে। তদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

মাইন উদ্দিন বলেন, ‘ভবনটিতে ফায়ার এক্সিটের কোন ব্যবস্থা ছিল না।’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার শাহজাদী সুলতানা বলেন, ‘আগুন লাগার দুই ঘণ্টা পর রাত ১১টা ৫০ মিনিটে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।