ডেস্ক রিপোর্ট: নিয়মিত ভাত খাওয়ার অভ্যাস অনেক রোগের কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের এমন অভিমত চিন্তার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে বাঙালিদের। তাই বলে কি ভাত খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে? মোটেও না। ভাত খাওয়া বন্ধ করার প্রয়োজন নেই। তবে, পুষ্টিবিদরা বলছেন, ‘ভাত খাওয়ার অপকারিতা থাকলেও তিনটি বিষয় মেনে চললে ভাতের পুষ্টিগুণ পেতে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব।’
ভাত এক রকমের শস্যজাতীয় খাবার। এটি কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার প্রধান উৎস। পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক মানুষ কার্বোহাইড্রেটের চাহিদা মেটাতে সরাসরি ভাতের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু, সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, এই ভাতই শরীরের বিভিন্ন অসুখের কারণ হয়ে উঠছে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ‘ভাতে ডাইজেসটিভ ফাইবার নেই। যার ফলে, এটি শরীরে তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। তাই, বার বার ক্ষুধা পায়। বার বার খাওয়ার এই প্রবণতাই শরীরের ওজন বৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ।
ভাত রক্তে সুগার লেভেল দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘১৫০ গ্রাম ভাতে ২০০ ক্যালরি থাকে। পেটে চর্বি জমার অন্যতম কারণ হিসেবেও দায়ী করা হচ্ছে এই ভাতকে। তাই, প্রয়োজনের বেশি ভাত খাওয়ায় রাশ টানতে না পারলে ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরে বাসা বাঁধবে বিভিন্ন রোগ।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় বলা হচ্ছে, ‘প্রতিদিন সাদা ভাত খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ভাত থেকে নিঃসরিত গ্লুকোজ আমাদের রক্তে দ্রুত মিশে যায়। আর এ কারণে ভাত খেয়েই ঘুমাতে যাওয়ার পরিণাম অজান্তেই ডেকে আনছে মানুষের মারাত্মক বিপদ।’
বিশেষজ্ঞরা আরো বলছেন, ‘নিয়মিত ভাত খাওয়ার অভ্যাসে ৩০ বছরের পর থেকে মানব শরীরে বেসাল মেটাবলিক রেট কমতে শুরু করে, যা বয়স বাড়ার সাথে আরো নিচে নামতে থাকে। এতে করে পুরো দিনে একাধিক বার ভাত খাওয়ার প্রবণতা যাদের আছে, তাদের মধ্যে ওবেসিটি, ডায়াবেটিস ও মানসিক অবসাদের সৃষ্টি হয়।
তাই, এসব অপকারিতা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চাইলে ভাত খাওয়ার সময় অবশ্যই মেনে চলুন তিনটি বিষয়। আসুন, জেনে নিই ভাত খাওয়ার সময় কোন তিনটি বিষয় মেনে চলতে হবে- লাল চালের ভাত খাওয়ার অভ্যাস করুন; সাদা বা ব্রাউন ভাত খেলে ভাতের সাথে মিশিয়ে নিন হলুদ; ভাত খাওয়ার অপকারিতা থেকে বাঁচতে প্রতিদিনের ডায়েটে ভাতের পরিমাণ কমিয়ে এর তিন গুণ পুষ্টিকর সবজি, তরকারি আর রঙিন ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করুন।