সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ভারত বিরোধীদের উচিত এ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া

বুধবার, জুন ২৬, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, ‘ভারত বাংলাদেশের দুর্দিনের বন্ধু, যা রক্তের অক্ষরে লেখা। যুদ্ধের পরে মিত্রবাহিনী এত তাড়াতাড়ি দেশ ছেড়ে চলে যায়, এমন ইতিহাস পৃথিবীর কোথাও নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গঙ্গার পানি চুক্তি করেছেন। এবার তিস্তার পানির সমাধানে বিস্তারিত আলাপ করেছেন। ইনশাআল্লাহ, আলোচনার মাধ্যমে তিস্তার পানির সমাধানও করবেন। স্বাধীনতার পর থেকে যারা ভারতের বিরোধিতা করে আসছে, তারা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু, পাকিস্তানের এজেন্ট। তাদের উচিত এ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

শেখ সেলিম আরো বলেন, ‘বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় এ বাজেট অত্যন্ত সময়োপযোগী। সরকার সকলের জন্য পর্যায়ক্রমে রেশন কার্ড ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করলে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য থাকবে না। বিএনপি ভারতের পণ্য বর্জন করতে বলে। নিত্যপণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য আমাদের ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়া সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র চীনের পণ্য বর্জনের কথা বলে না। বিএনপির উচিত হবে সকলের পূর্বে ভারতের কাপড়-চোপড় যা ঘরে আছে; সেগুলো বর্জন করা।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতারা বলেন, শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করে দিচ্ছেন। আর কিছু দিন সময় পেলে দেশ তো তারা পাকিস্তানের কাছে বিক্রি করে দিত। বিক্রি নয়, এমনিতেই দিয়ে দিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ আমরা সমুদ্র জয় করেছি, ছিটমহল জয় করেছি। বঙ্গবন্ধুকন্যার তো কিছু চাওয়া-পাওয়া নেই। বাপ হারিয়েছেন, মা হারিয়েছেন, ভাই হারিয়েছেন। তার একটাই চাওয়া, যদি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণ করতে পারেন। শেখ হাসিনার একটা বাড়িও নেই। নিজে সরকারি বাড়িতে থাকেন, তার স্বামীর একটা বাড়ি আছে। তোদের এক একজন তো লন্ডনে থাকিস, কোথা থেকে আসে?’

বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে খুন প্রসঙ্গে এ সাংসদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কিছু কর্মীও বঙ্গবন্ধুকে বিরক্ত করেছিল। এ জন্য অপশক্তি বঙ্গবন্ধুকে আঘাত করতে পেরেছিল। বঙ্গবন্ধু যাদেরকে নিজ হাতে খাইয়েছেন, মাসে মাসে টাকা দিয়েছেন, তারাও রেডিও স্টেশনে গিয়ে খুনিদের সমর্থন দিয়েছিল। বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে, গণবাহিনীর নামে বিরোধিতা করেছেন। যারা বঙ্গবন্ধুকে আঘাত করেছে, তারা নেত্রীকেও আঘাত করতে পারে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।’