শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

শিরোনাম

ভার্জিনিয়ায় সামছুদ্দীন মাহমুদের ‘টার্ক দ্বীপের সাদা দৈত্য’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত

শনিবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

ভার্জিনিয়া: কবি, লেখক ও সংগঠক সামছুদ্দীন মাহমুদের ‘টার্ক দ্বীপের সাদা দৈত্য’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব রোববার (২০ এপ্রিল) ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স এ এম্পায়ার হেলথ কেয়ার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভয়েস অব এমেরিকার বাংলা বিভাগের সাবেক প্রধান রোকেয়া হায়দার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভয়েস অব এমেরিকার বাংলা বিভাগের ম্যানেজিং এডিটর সরকার কবিরউদ্দিন, ম্যারিল্যান্ড ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিভাগের প্রফেসর রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ফয়সাল কাদের, বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা আনোয়ার করিম, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও ডেমোক্রেট নেতা শরাফত হোসেন বাবু, ডিসি বইমেলার সাবেক সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম, আইটি প্রকৌশলী স্যাম রিয়া।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাইবার সিকিউরিটি প্রকৌশলী খুরশীদ সাব্বীর। উপস্থাপনা করেন কমিউনিটির পরিচিত মুখ ও সংগঠক কচি খান। । অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নিক রোয়ান, মিজানুর রহমান, ফিরোজ আহমেদ প্রমুখ।

অতিথিরা বইয়ের বাস্তব সমালোচনাসহ মূল্যায়ন যথাযথভাবে তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে রোকেয়া হায়দার উল্লেখ করেন, ভুতের গল্প আমার খুবই প্রিয়। সামছুদ্দীন মাহমুদের এই গল্পগুলি জীবন থেকে নেয়া। এই বইগুলোতে আমেরিকান জীবনধারার অনেক কিছুই উঠে এসেছে, যা হয়ত বাংলাদেশে থাকলে কল্পনাও করা যেতো না।

একজন আইটি বিশেষজ্ঞ হয়েও সাহিত্যের একেবারে উচ্চমার্গে যাকে আমরা বাস্তবধর্মী গল্প রচনাতে হাত দেওয়ায় তিনি লেখকের প্রচুর প্রশংসা করেন।

তিনি লেখকের নতুন বইয়ের একটি গল্প ‘ডরোথি ম্যাকগ্রা’ নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, ‘এই গল্পটি পড়ার পর আমি ভয়ে রাতে ঘুমাতে পারিনা। এই বয়সেও আমাকে কেন জানি লেখকের গল্পের ভুত ঘাড় মটকে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে।’

সরকার কবির উদ্দিন বলেন, ‘কয়ের বছর আগে সামছুদ্দীন মাহমুদের দুটি বই প্রকাশনা উৎসবে আমি এসেছিলাম। তার বইগুলির মধ্যে বাংলার সোদা মাটির গন্ধ পাচ্ছি। লেখক আমাদের চারপাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভুতরুপী চরিত্রগুলিকে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তুলে ধরেছেন।’

তিনি উল্লেখ করেন, যেকোন লেখক তার সমাজ কৃষ্টি কালচালার এর প্রতি দায়বদ্ধ। তিনি লেখক সামছুদ্দীন মাহমুদ এর মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা পুরোপুরি দেখতে পান। আমাদের সমাজের চারপাশের ঘটনাগুলিকেই তিনি সুন্দরভাবে তার গল্পে তুলে ধরেন।

আনোয়র করিম বলেন, ‘সামছুদ্দীন মাহমুদের আগের দুইটি বইও আমি পড়েছিলাম। আমি ঔ বইগুলির একটি বিশাল রিভিও লেখেছিলাম। এই বইটিরও একটি রিভিও লেখবো।’

অনুষ্ঠানে লেখকের জন্য কেক নিয়ে আসেন ফিরোজ আহমেদ ও পারভীন ফিরোজ দম্পতি। ফুলে নিয়ে আসেন সরকার কবিরুদ্দীন ও নিশাত কবির দম্পতি। এরপর কেক কেটে লেখকের প্রকাশনা উৎসব উদযাপন করা হয়।

সবশেষে বইটির মোড়ক উম্মোচন করেন সরকার কবীর উদ্দিন, রোকেয়া হায়দারসহ অন্যরা।