ঢাকা: সচেতনতামূলক কর্মসূচির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রশাসনের সক্রিয়তায় চালক-পথচারি ও যাত্রী সাধারণের মধ্যে সচেতনতা-সাবধানতার কারণে পথে মৃত্যু কমলেও বেড়েছে দূর্ঘটনা ও আহতর সংখ্যা। ২০২৩ সালের ১-২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকাসহ ৬৪ জেলায় ছোট বড় মোট তিন হাজার ৬৩০টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন হাজার ৯০৪ জন, নিহত হয়েছেন ৫৩৬ জন।
সেভ দ্য রোড এর মহাসচিব শান্তা ফারজানা স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে জানা যায়, বাইক লেন না থাকা, অনিয়ন্ত্রিত গতিতে বাহন পরিচালনা আর আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হওয়ায় ফেব্রুয়ারিতে এক হাজার ১১২ মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন এক হাজার ১৫২ জন, নিহত হয়েছেন ১১৭ জন; ৭৮৯ টি ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত ৮১৫ ও নিহত হয়েছেন ১৪৬ জন, ৮১০টি বাস দুর্ঘটনায় আহত ৯৬১ ও নিহত হয়েছেন ১৬৫ জন, সিএনজি-নাসিমন-করিমনসহ অবৈধ বিভিন্ন ধরনের বাহনে ৯১৯টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৯৭৬ ও নিহত হয়েছেন ১০৮ জন।
সেভ দ্য রোড এর চেয়ারম্যান জেডএম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া, আইয়ুব রানা ও লায়ন ইমাম হোসেনের তত্বাবধায়নে ১৭টি জাতীয় দৈনিক, ২২টি নিউজ পোর্টাল ও ২১টি টিভি এবং স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী/সেভ দ্য রোড এর স্বেচ্ছাসেবীদের দেয়া তথ্যানুসারে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
সেভ দ্য রোড এর পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়- ১-২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নৌপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ৭৬টি। আহত হয়েছে ১১৭ জন, নিহত হয়েছে ১৮ জন। রেলপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ১১১টি। আহত হয়েছে ৮৭। নিহত হয়েছে ১৮ জন। আকাশপথে কোন দুঘটনা না ঘটলেও বিমানবন্দরের রানওয়েতে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশে সড়কপথে দূর্ঘটনা না কমার জন্য ঢাকাসহ পুরো দেশে গণপরিবহন সেক্টরে কেবলমাত্র প্রশাসনিক অদক্ষতাই নয়; দায়ী দুর্নীতি-অনিয়ম এবং ক্ষমতার অপব্যবহার। পাশাপাশি যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন সেই সরকারের লেজুড়বৃত্তি করে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া এক শ্রেণির চাঁদবাজ সিন্ডিকেট কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত পরিবহন ব্যবস্থার কারণে যাত্রীবাহী বাস-মিনিবাস, ট্যাক্সিক্যাব ও অটোরিক্সার এ মহাসংকট ও স্বল্পতা।
উল্লেখ্য, ‘সেভ দ্য রোড এর অঙ্গীকার পথ দূর্ঘটনা থাকবে না আর…’ বাক্যটিকে লালন রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে ২০০৭ সালে পথ চলা শুরু করে সচেতনতা-গবেষণা ও স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনটি।